ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জামিন পেলেন ফখরুল-খসরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২২
জামিন পেলেন ফখরুল-খসরু

ঢাকা: নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উসকানি ও তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ঢাকা শহরে নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জামিন পেয়েছেন।
 
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তারা৷ শুনানি শেষে বিচারক পরবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন।


 
চলতি বছর ৯ জুন ফখরুল-খসরুসহ বিএনপির তিন নেতাকে হাজির হতে সমন জারি করেন একই আদালত। এই মামলার অপর আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম (১৬) এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল করিম রাজু (১৭) নিহত হন।  

এ ঘটনার বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরবর্তীতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এ আন্দোলন।

শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনকে রাজনীতিকরণসহ সারাদেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয় ফখরুলদের বিরুদ্ধে।  

অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট আমীর খসরু ঢাকা শহরসহ সারাদেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কুমিল্লার নওমী নামের এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের কর্মীদের নামানো এবং ফেসবুকে প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা প্রদান করেন।

অপরদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর হুকুমে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছাত্রদলের লোকজন ঢুকে পড়ে। এছাড়া তাদের হুকুমে রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের কর্মীদের ঢুকিয়ে এনা পরিবহনের দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ, জিগাতলায় আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর এবং হামলা করে কর্মীদের আহত করা, মিরপুরে মারপিট, হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটায় ছাত্রদলের কর্মীরা।

এসব অভিযোগে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যা‌জি‌স্ট্রেট এইচ এম তোয়াহার আদালতে মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক।  

আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে তেজগাঁও থানাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সেন্টু মিয়া একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।  

এ ঘটনার সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে দণ্ডবিধির ১৫৩ ও ১০৯ ধারায় আসামিদের অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।