ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সিনহার বিরুদ্ধে হুদার মামলা: সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ৩০ অক্টোবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২২
সিনহার বিরুদ্ধে হুদার মামলা: সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে ৩০ অক্টোবর

ঢাকা: সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।  

সোমবার (০৩ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

তবে এদিন অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির হননি নাজমুল হুদা। তাছাড়া মামলার কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে আপিল বিভাগে মামলা চলমান রয়েছে জানিয়ে সময় আবেদন করে আসামিপক্ষ। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।  

এ মামলায় ২০২১ সালের ৭ অক্টোবরে করেন দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছর ২৪ নভেম্বর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৯ এ বদলির আদেশ দেন।  

২০২২ সালের ৬ এপ্রিল একই আদালত নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।  

তবে চার্জগঠনের পর মামলা বাতিল চেয়ে নাজমুল হুদা হাইকোর্টে আবেদন করেন। গত ৭ জুন হাইকোর্ট তার আবেদন খারিজ করে মামলার বিচার চলবে মর্মে রায় দেন। এরপর গত ৯ জুন মামলার বাদী ও সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন আদালতে জবানবন্দি দেন।

তবে পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান নাজমুল হুদা। আপিল বিভাগে সেই আবেদন শুনানির অপেক্ষায় থাকায় মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।  

২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১-এ নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এসকে সিনহা।

পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে। দেড় বছর তদন্ত করে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা অভিযোগে করা হয়েছে মর্মে প্রমাণ পায় দুদক। তাই মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই এই মামলা করে দুদক।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২২
কেআই/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।