ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৫ জনের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২২
টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৫ জনের কারাদণ্ড প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় এক কোটি ৯৭ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে সোনালী ব্যাংকের চার সিনিয়র কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে ৭০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই পাঁচজনকে বিভিন্ন ধারায় তিন কোটি ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে তিন আসামি উপস্থিত ছিলেন।  

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নোয়াখালী সদর উপজেলার সোনাপুর বিসিক শিল্প এলাকার মেসার্স ডলফিন সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন ফারুক, সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক এজিএম এ জে আবদুল্ল্যা আল মামুন, সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার জাকের উল্যাহ, ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সাবেক এওজি ক্যাশ-২ এম এ রহমান, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত ইঞ্জিনিয়ার সামছুদ্দোহা নাহাদ।

জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুপুর ১২টার দিকে মামলার শুনানি শেষে বিচারক রায় দেওয়ার সময় মামলার তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার ১ নম্বর ও ২ নম্বর আসামি পলাতক রয়েছেন।  
   
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ব্যবসায়ী ফারুক ও চার ব্যাংক কর্মকর্তা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্লেজ গুদামে মাছ না রেখে ভুয়া প্লেজ লেটার প্রস্তুত করে। পরে তা ব্যাংকে দাখিল করে বিল-ভাউচার প্রস্তুত করে ঋণের টাকা গ্রাহকের নামীয় ঋণ হিসেবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন করে ঋণের টাকা অন্যত্র স্থানান্তর ও রূপান্তর করে মানি লন্ডারিং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অর্জন করে।  

সর্বশেষ আলামত ধ্বংস (প্লেজকৃত মাছ) করে ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ৭শ টাকা আত্মসাৎ করে। পরে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালীর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান, বর্তমানে উপ-পরিচালক, গোয়েন্দা ইউনিট, প্রধান কার্যালয়, কর্তৃক তদন্ত শেষে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।  

দুদকের পিপি আরও জানান, দুটি ধারায় মেসার্স ডলফিন সি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন ফারুক ও সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক এজিএম এ জে আবদুল্ল্যা আল মামুনকে দুর্নীতির দায়ে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী ফারুককে দুই কোটি দুই লাখ টাকা ও সোনালী ব্যাংকের সাবেক এজিএম এ জে আবদুল্ল্যা আল মামুনকে এক কোটি দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  

অপর তিন ব্যাংক কর্মকর্তা সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার জাকের উল্যাহ, ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সাবেক এওজি ক্যাশ-২ এমএ রহমান, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের বরখাস্তকৃত ইঞ্জিনিয়ার সামছুদ্দোহা নাহাদকে একাধিক ধারায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

একই সঙ্গে তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে ২২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রায়ে তাদের ২৫ বছর করে দণ্ডিত করা হলেও একসঙ্গে সাজা কার্যকর হওয়ায় তাদের তিন আসামিকে ১০ বছর সাজা খাটতে হবে বলেও জানান এ আইনজীবী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।