ঢাকা: রাজধানীর শুক্রাবাদে এক বিউটিশিয়ানকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার বেসরকারি বিশ্বিবদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৪ অক্টোকর তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে সোমবার তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) শেরেবাংলা নগর থানার পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো দুই আসামি হলেন- মো. রিয়াদ (২৪) ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়াম (২৩)। তারা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গত ১২ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারী সাভারে থাকতেন। একটি অনলাইন পেজের মাধ্যমে তিনি বাসায় গিয়ে নারীদের সাজানোর কাজ করতেন। পেজে দেওয়া নম্বরে গত ১১ অক্টোবর তাসলিমা নামে এক নারী ওই বিউটিশিয়ানকে ফোন দিয়ে জানান, শুক্রাবাদ এলাকায় ফেসিয়াল সেবা দিতে হবে।
সেই তথ্যের ভিত্তিতে সাভার থেকে ওই বিউটিশিয়ান শুক্রাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। পথে তাসলিমার ভাই পরিচয়ে আসামি রিয়াদ তার অবস্থান সম্পর্কে ফোনে কয়েকবার খোঁজ নেন। সন্ধ্যার পর ওই নারীকে রিয়াদ শুক্রাবাদ থেকে রিসিভ করে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তখন কোনো নারী ছিল না। তাসলিমা নামে ওই নারীর জন্য ভিকটিমকে অপেক্ষা করতে বলেন রিয়াদ।
এরপর সেখানে আসে তার বন্ধু সিয়াম ও জিতু। পরে এই তিন বন্ধু মিলে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই বিউটিশিয়ানকে ধর্ষণ করেন। এরপর তাকে রাস্তায় একটি সিএনজিতে তুলে দেয় আসামিরা।
এ ঘটনার পর ভিকটিম স্বামীসহ প্রথমে ধানমণ্ডি থানায় যান। তবে ঘটনাস্থল শেরে বাংলানগর থানার আওতাধীন হওয়ায় তাদের সেখানে পাঠানো হয়। সেখানে তার স্বামী বাদী হয়ে শেরে বাংলানগর থানায় চারজনের নামে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করেন। এরপর টিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক)হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিম সেন্টারে পাঠানো হয়।
এদিকে মামলার পর অভিযান চালিয়ে রিয়াদ ও সিয়ামকে গ্রেফতার করে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ। আসামিরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বখে যাওয়া’ শিক্ষার্থী বলে জানায় তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০২২
কেআই/এমএমজেড