মিলেঙ্গে মিলেঙ্গে, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় মিলিত হওয়া। ঠিক ধরেছেন, শহীদ কাপুর আর কারিনা কাপুরের কথাই বলা হচ্ছে।
ছবিটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অতিথি চরিত্রে সালমান খানের অভিনয়ের কথা ছিল। কিন্তু ছবির মূল দুটি চরিত্র শহীদ কাপুর ও কারিনা কাপুরের সাথে দূরত্বের কারণে পরে সালমান ওই চরিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানান। গোপন সূত্রে জানা যায়, ২০০৮-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ ভালোবাসা দিবসের পরদিন ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শহীদ কাপুর ও কারিনা কাপুরের সম্পর্কে ফাটল ধরায়, তারা দুজন একসঙ্গে আর ডাবিং করতে আসতে রাজি হননি। ফলে ছবির কাজ সম্পন্ন করতে দেরি হয়ে যায়। দেরিতে হলেও সুখবর হচ্ছে, ছবির ডাবিং শেষ হয়েছে এবং দর্শকরা এখন সেই ছবিটি উপভোগ করছেন।
এই ছবির নায়িকা, কলেজছাত্রী কারিনার জীবনের একটাই স্বপ্ন, তা হলো সিগারেটের অভ্যাস নেই, মদ খায় না, মিথ্যা কথা বলে না এমন পুরুষের সাথে সংসার করা। সহপাঠী শহীদ কাপুর তা জানতে পারে এবং এই তিনটি অভ্যাস থাকার পরও সেই স্বপ্নের পুরুষ হবার জন্য কারিনার সামনে নিজেকে কারিনার মতো করেই হাজির করে। কিন্তু সত্য প্রকাশিত হবার পর এই ভালোবাসা টিকতে পারে কি না তা ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়। এটাই ছবির মূল কাহিনী।
ছবিটি দেখার পর মনে হতেই পারে সম্পর্ক থাকাকালীন শহীদ-কারিনা জুটির ছবি যতোটা ব্যবসাসফল হয়েছে, সম্পর্ক ভেঙে যাবার পরও তেমন ব্যবসাসফল হয় কিনা, একই রকম দর্শকপ্রিয়তা পায় কি না। কারণ বাস্তব জীবনের প্রভাব তাদের অভিনয় জীবনে পড়তেই পারে। আসুন সেটাও ছেড়ে দেওয়া যাক তাদের দুজনের সেরেন্ডিপিটি বা ভাগ্যের ওপর, মিলেঙ্গে মিলেঙ্গে ছবিতে যেরকম নায়ক-নায়িকার সম্পর্ক ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ০০১৫, জুলাই ১৩, ২০১০