হলিউডে প্রায় এক যুগ পর মৌলিক কাহিনী নিয়ে ছবি নির্মাণ করেছেন ক্রিস্টোফার নোলান। গত ১৬ জুলাই মুক্তি পায় তার পরিচালনায় সায়েন্স ফিকশন ধাঁচের ছবি ‘ইনসেপশন’।
ইনসেপশন মূলত ফিউচারিষ্টিক এসপিওনাজের কাহিনী। দুই স্বপ্নচোরের কার্যকালাপ দিয়ে কাহিনী শুরু হয়। কব নামের এক অদ্ভুত চোরের ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। তবে কোনো জিনিসপত্র বা ব্যাংকের ভল্ট চুরি নয়, একদম মনের ভেতর ঢুকে মনের কথা চুরি করাই তার কাজ। বিশেষ করে ঘুমের মধ্যে কারো মগজের ভেতর থেকে আইডিয়া চুরিতে জুড়ি নেই কবের। আর এ জন্য এক দিকে যেমন তার বেশ নামডাক, অন্যদিকে একজন আন্তর্জাতিক ফেরারী আসামি। এর জন্য কবকে হারাতে হয়েছে প্রিয় সব কিছু। আর তাই প্রতিশোধের স্পৃহায় শেষবারের মতো আরেকটি মিশন হাতে নেয় কব। তবে এবার কারো মগজের ভেতর থেকে চুরি নয়, উল্টোটা করতে হবে অর্থাৎ স্বপ্নের ভেতর অন্যের মগজে ঢুকে গোপনে একটি আইডিয়ার বীজ পুঁতে আসতে হবে তাকে। কব ও তার বিশেষজ্ঞ দলটি প্রস্তুতি নিতে থাকে জটিল এই মিশনের। কিন্তু তাদের প্রতিটি পদপেই টের পেয়ে যাচ্ছে শত্রুপ। আর এভাবেই নানান জটিলতার মধ্য দিয়ে ছবির কাহিনী এগিয়ে যায়।
ছবিটি নিয়ে উচ্ছাসিত লিওনার্দো স্বয়ং নিজেও। প্রথমবারের মত এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নানা ধরনের চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মেলে ধরাটা একজন অভিনেতার অন্যতম গুণ। আমি দর্শকদের কাছে নিজেকে তাই নানাভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি। অন্যান্য ছবির চেয়ে এ ছবিতে ব্যতিক্রমী চরিত্রে দর্শকদের সামনে এসেছি। আশা করছি, দর্শকদের ভালো লাগবে’।
এছাড়া ছবিটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোসেফ গর্ডন লেভিট, এলেন পেজ ও টম হার্ডি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে প্রথম ছবি ‘ফলোয়িং’-এর পর পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান তার পরবর্তী ছবিগুলোতে মৌলিক কাহিনী নিয়ে কাজ করেন নি। পরবর্তী পাঁচটি ছবি ছিল ‘মেমেন্তো’, ‘ইনসমনিয়া’, ‘ব্যাটম্যান বিগিনস’, ‘দ্য প্রেস্টিজ’ ও ‘ডার্ক নাইট’। আর এই ছবিগুলো রিমেক, কমিক বই, ছোটগল্প কিংবা উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হয়। এমনকি ২০০০ সালে তার নির্মিত ‘মেমেন্তো’র অনুকরণেই বলিউডে আমির খান অভিনীত ‘গজিনি’ ব্লকব্লাস্টার হিট হয়ে ছিল। এক যুগ পর পুনরায় ক্রিস্টোফার নোলানের নির্মিত ‘ইনসেপশন’ চলতি বছরের অন্যতম ব্লক-ব্লাস্টার ছবি হতে চলেছে, এমনটাই মনে করছেন চলচ্চিত্র সমালোচনাকারীরা।
বাংলাদেশ সময় ১৭১০, আগস্ট ০২,২০১০।