বলিউড সুপারস্টার আমির খান প্রযোজিত ছবি ‘পিপলি লাইভ’ এবার অস্কারে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছে। ৮৩তম অস্কারের বিদেশি ভাষা বিভাগের প্রতিযোগিতায় প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হয়েছে ছবিটি।
ভারত থেকে অস্কারের বিদেশি ভাষা বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য এবার জমা পড়েছিল ২৭টি ছবি। সব ছবিকে পিছনে ফেলে আনুশা রিজভি পরিচালিত ও আমির খান প্রযোজিত ‘পিপলি লাইভ’ ছবিটি নির্বাচকরা মনোনীত করেছেন। এই নিয়ে আমির খান প্রযোজিত তিনটি ছবি লগন (২০০১), তেরি জমিন পার (২০০৭) এবং পিপলি লাইভ (২০১০) অস্কারে প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হলো।
আমির খান প্রযোজিত এ ছবির কাহিনীটা বলিউড ঘরানা থেকে একটু আলাদা। ছোট একটি গ্রামের নাম পিপলি, আর সেখান থেকেই ছবির গল্প শুরু। এ গ্রামের দুই গরিব কৃষক প্রবল খরার কবলে পড়লে ঋণ নিতে বাধ্য হয়। তারপর সেই ঋণ শোধ করার উপায় না পেয়ে তারা যখন হাবুডুবু খাচ্ছে, তখন এক রাজনৈতিক নেতা তাদের আত্মহত্যা করার বুদ্ধি দেন। আত্মহত্যা করলে তাদের পরিবার যে তিপূরণ পাবে তাতেই শোধ হয়ে যাবে ঋণ, বাড়তি টাকাও থাকবে পরিবারের হাতে। দিশেহারা দুই কৃষক ওই নেতার পরামর্শ অনুসরণ করা ছাড়া উপায় খুঁজে পায় না। এদিকে এক সাংবাদিক পুরো ব্যাপারটা জেনে যায়। এ বিষয়ে জনমত গড়ে তোলার দায়িত্ব কাঁধে নেয়। এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসন আর মিডিয়ায় ঘটতে থাকে নানা কারসাজি। ছবির গল্প শুনে মনে হতেই পারে, না জানি কতো গুরুগম্ভীর ছবি। কিন্তু ছবিতে গুরুতর এইসব মানবিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে হাস্যরসের মধ্য দিয়ে।
‘পিপলি লাইভ’-এর পরিচালক আনুশা রিজভির এটিই প্রথম ছবি পরিচালনা। ভদ্রমহিলা পেশায় ছিলেন এনডিটিভির সাংবাদিক। তুখোড় টিভি রিপোর্টার হিসেবে তার পরিচিতি ও খ্যাতি ছড়িয়ে আছে সারা ভারতে। সাংবাদিকতা জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি ‘পিপলি লাইভ’ ছবিটির চিত্রনাট্য রচনা করেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হয়েছে ছবিটি। এর মধ্যে ডারবান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সাড়া ফেলে দেয় ‘পিপলি লাইভ’ , আর তাই জীবনের প্রথম ছবিটি করেই পরিচালক পেয়ে যান ‘শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র’-এর পুরস্কার। উৎসবের জুরিম-লীর মন্তব্য, বর্তমান ভারতের সামাজিক ও রাজনৈতিক ঘটনাকে যেন বিদ্রূপ করা হয়েছে এ ছবিতে। আসন্ন অস্কারে জমা দেওয়ার লক্ষে যুক্তরাষ্ট্রেও ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২৩২০, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১০