হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে অরুণ চৌধূরী পরিচালিত এনটিভির ধারাবাহিক নাটক ‘রুমালী’-এর শুটিং চলছে উত্তরার একটি হাউজে। নাটকটির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা।
কেমন আছেন প্রভা ? একজন প্রডাকশন এসিস্টেন্ট জানালেন, তিনি একদম চুপচাপ হয়ে গেছেন। শুট্যিংয়ের ফাঁকে আগে তাকে খুব আড্ডা দিতে দেখা যেতো। এখন আড্ডা দেন না। একটা দৃশ্য ধারণ হলে পরের দৃশ্যের মাঝের সময়টা তিনি বিশ্রামে থাকেন। আগে প্রডাকশনের সবার সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলতেন। খোঁজখবর নিতেন। এখন প্রয়োজন ছাড়া কথা বলেন না। পরিচালকের কড়া নির্দেশ তাকে কোনোরকম বিরক্ত করা যাবে না। প্রডাকশনের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, অপূর্ব’র অন্য কোথাও কাজ না থাকলে তিনি প্রভার শুটিংয়ে চলে আসেন। প্রভার পাশে থাকার চেষ্টা করেন।
একটা দৃশ্য ধারণ শেষে প্রভার সঙ্গে কথা বলার একটু সুযোগ পাওয়া গেল। স্বভাবজাত ভঙ্গিতে হাসলেন। কেমন আছেন জানতে চাইলে প্রভা বললেন, আমি ভালো আছি। এখনো বেঁচে আছি। শ্বশুরবাড়িতে বেশ আনন্দের সঙ্গেই দিন কাটছে। প্রভা জানালেন, দুটো প্রডাকশন ছাড়া আপাতত নতুন কোনো কাজ হাতে নিচ্ছেন না। অরুণ চৌধুরীর ‘রুমালী’ ছাড়া অভিনয় করছেন আহমেদ জামান চৌধুরী রচিত ও সৈয়দ জামিম পরিচালিত ‘পথ জানা নাই’ নাটকে।
নতুন কোনো নাটকের কাজ না করার কারণ জানতে চাইলে প্রভা বললেন, নতুন সংসার শুরু করেছি। সংসার গুছিয়ে নেয়ার জন্য তো একটু সময় দরকার। একটু হেসে তিনি বললেন, বিয়ের পর শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সেবাত্ন করতে পারিনি। তাদের মন জয় করতে হবে না। পরক্ষণেই বললেন, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুবই ভালো। মনমানসিকতায় খুবই উদার। তাদের যে সহানূভুতি আমি পেয়েছি তা ভুলে যাবার মতো নয়।
ইন্টারনেটে ভিডিও ফুটেজ আর তাকে নিয়ে নানা গুজব প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি নন প্রভা। তিনি বললেন, কমবেশি ভুল সবাই করে। সব মানুষের জীবনেই ভুল-ত্রুটি আছে। সেগুলো নিয়ে পড়ে থাকলে তো জীবন চলে না। বরং ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পথ চলতে হয়। অতীতের কোনো দূর্ঘটনা আমি মনে রাখতে চাই না। নতুন জীবন শুরু করেছি। আপনারা সবাই আমাদের দোয়া করবেন।
ফোনে অপূর্বের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, তার পরিবারের সদস্যরা প্রভাকে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন। প্রভার সঙ্গে সবার চমৎকার সম্পর্ক। অপূর্ব বলেন, অতীতে কী ঘটেছে তা নিয়ে আমি মাথা ঘামাতে চাই না। বর্তমানটাকে আমি সুন্দর করতে চাই, আর ভবিষ্যতে শান্তিতে থাকতে চাই। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯৩০, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১০।