‘প্রতিদিন হাজারো রঙের ভিড়ে, লাল সবুজের বীজ বুনে যাই’ এই শ্লোগান নিয়ে পালিত হয়েছে চ্যানেল আইয়ের এবারের জন্মদিন। পথচলার এগারো বছর পেরিয়ে চ্যানেল আই ০১ অক্টোবর ২০১০ পদার্পণ করেছে বারো বছরে।
১৯৯৯ সালে শুরু হয়েছিল বাংলাভাষার প্রথম ডিজিটাল স্যাটেলাইট হিসেবে চ্যানেল আইয়ের এই পথচলা। এ উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ের তেজগাঁওয়ের নিজস্ব ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান।
চ্যানেল আইয়ের জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকেই অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে ভীড় করে শিল্পী, কলাকুশলী আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-প্রতিনিধিরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা তারকাশিল্পীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় বিপুল সংখ্যক মানুষের করতালির মধ্য দিয়ে কাটা হয় বিশাল আকৃতির কেক। পুরো অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আই সরাসরি সম্প্রচার করে। এছাড়াও চ্যানেল আইয়ের পর্দায় ছিল জন্মদিনের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
অন্যবারের চেয়ে এবার আরো বর্ণাঢ্য আমেজে দেশব্যাপী এবার উদযাপিত হচ্ছে চ্যানেল আই-এর জন্মদিন। ঢাকায় উদযাপিত হচ্ছে নয়দিনব্যাপী কর্মসূচি। এগুলোর মধ্যে ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর শিশু একাডেমীতে শিশুদের ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে শরৎ উৎসব, ২৫ সেপ্টেম্বর শিশু পার্কে গণসঙ্গীতের অনুষ্ঠান, ২৬ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর বেঙ্গল গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনী ও সঙ্গীতানুষ্ঠান, ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর ছায়ানট-এ শিশুশিল্পীদের নাটক ও ক্ষুদে গানরাজদের পরিবেশিত সঙ্গীতানুষ্ঠান, ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র সরোবরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ব্রতচারী, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর শিল্পকলা একাডেমীতে নাট্যোৎসব ও ২৯-৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ কাউন্সিলে নাটক প্রদর্শনী ও সেমিনার। একই দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পথ নাটক, গণসঙ্গীত ও কবিতা আবৃত্তি, এবং বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং ৩০ সেপ্টেম্বর মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে প্রাক্তন তারকা ফুটবলারদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৪৫৫, অক্টোবর ০১, ২০১০