উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী চিলমারী বন্দরের ছেলে সফিউল আলম রাজা। ভাওয়াইয়ার ঐতিহ্য মিশে আছে তার রক্তে।
সফিউল আলম রাজার ভাওয়াইয়ায় হাতেখড়ি সেই শৈশবে। আব্বাসউদ্দিন আহমেদের গাওয়া ভাওয়াইয়াতে কণ্ঠ মিলিয়েই বড় হয়ে ওঠা। তালিম নেন ভাওয়াইয়ার আরেক সাধক নুরুল ইসলাম জাহিদের কাছে। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সঙ্গীত মেধা কার্যক্রমে নিজের কণ্ঠকে যাচাই করতে নাম লিখিয়েছিলেন। এই প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক গান বিভাগে অর্জন করেন শীর্ষমান। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে বের হওয়ার অপেক্ষায় থাকা একটি মিক্সড অ্যালবামে থাকছে রাজার গাওয়া ভাওয়াইয়া গান।
নিজের প্রথম একক অ্যালবামের কাজও সফিউল আলম রাজা গুছিয়ে এনেছেন। এরই মধ্যে রেকর্ডিং হয়ে গেছে ৯টি গান। বাকি তিনটি গান রেকর্ডিংয়ের সব প্রস্তুতিই নেওয়া হয়ে গেছে । আসছে ঈদের পরে লেজার ভিশনের ব্যানারে অ্যালবামটি অডিও বাজারে আসছে।
চার দশক আগে বাংলা ছবিতে সর্বশেষ ব্যবহৃত হয়েছিল ভাওয়াইয়া গান। ভাওয়াইয়াপ্রেমীদের জন্য আনন্দের সংবাদ হলো, আবারও চলচ্চিত্রে ব্যবহার হচ্ছে ভাওয়াইয়া। একটি নয়, দুটো ছবিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে উত্তরাঞ্চলের এই প্রাণের সুর। ছবি দুটো হচ্ছে শাহনেওয়াজ কাকলী পরিচালিত ‘উত্তরের সুর’ ও রেজানুর রহমান পরিচালিত ‘আদম-হাওয়া’। দুটি ছবির সাতটি গানে কণ্ঠ দিয়ে অবাক করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন রাজা।
‘উত্তরের সুর’ ছবিতে রাজা কণ্ঠ দিয়েছেন চারটি ভাওয়াইয়া গানে আর ‘আদম-হাওয়া’ ছবিতে গেয়েছেন তিনটি ভাওয়াইয়া। ছবি দুটি মুক্তি পেলে ভাওয়াইয়া গানের মধুর আমেজ ছড়িয়ে যাবে সারা দেশে, এই বিশ্বাস সফিউল আলম রাজার।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৩০ অক্টোবর ২৬, ২০১০