‘শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী’ যৌথ আয়োজনে ২ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘কথাকলি নৃত্য পরিবেশনা এবং নৃত্যশিল্পী সম্মাননা’ প্রদান অনুষ্ঠান। এটি ছিল ছয় দিনব্যাপী কথাকলি নাচের কর্মশালার সমাপনি অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার সঞ্জয় ভট্টাচার্য , শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক কামাল লোহানী, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ অধ্য কথাকলি নাচের গুরু অধ্যাপক টি শঙ্কর নারায়ণ ভরতনাট্যমের গুরু শ্রীমতি থাঙ্কামনি কুট্টি ও শিল্পী মালবিকা সেন।
অতিথিদের আলোচনা শেষে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা কথাকলি ও ভরতনাট্যম নাচ পরিবেশন করে। ক্যারেলা গানের সাথে ১৫জন শিল্পীর একটি দলীয় কথাকলি নাচের মাধ্যমে শুরু হয় নৃত্যানুষ্ঠান। এরপর পর্যায়ক্রমে পরিবেশিত হয় একক নৃত্য, দলীয় নৃত্য এবং নৃত্যনাট্য।
অনুষ্ঠানে ভরতনাট্যম পরিবেশন করেন মালবিকা সেন। নাচটি পরিচালনা করেন শ্রীমতী থাঙ্কামনি কুট্টি। কথাকলি নাচের অংশটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক টি শঙ্কর নারায়ণ। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল পৌরণিক কাহিনী অবলম্বনে নৃত্যনাট্য ‘ভস্মাসুর’। এটি পরিবেশন করেন অধ্যাপক টি শঙ্কর নারায়ণ, মালবিকা সেন ও অন্যান্য শিল্পীরা। দর্শকরা প্রাণভরে উপভোগ করেন কথাকলি নাচ।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬১৫ ঘন্টা , ৩ নভেম্বর ২০১০