১০ নভেম্বর নূর হোসেন দিবসে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিউটে ঘরোয়া আয়োজনে পরীক্ষামূলকভাবে দেখানো হলো শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়। ’ তথ্যচিত্রটির নামকরণ করা হয়েছে শামসুর রাহমানের কবিতার লাইন থেকে।
নূর হোসেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে স্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ল সারা বাংলাদেশে অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে তিনি ঢাকায় স্বৈরাচারবিরোধী এক মিছিলে অংশ নেন। প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে বুকে পিঠে সাদা রঙে লিখিয়ে নেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।
মিছিলটি ঢাকা জিপিওর সামনে জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি এলে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন নিহত হন। নূর হোসেনের মৃত্যুতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ বিক্ষোভ ফেটে পড়েন। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যে স্থানে তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হন, সেই জিরো পয়েন্টের নামকরণ করা হয়েছে নূর হোসেন স্কয়ার।
‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’ প্রামাণ্যচিত্রে একদিকে যেমন দেখানো হয় নূর হোসেনের জীবন ও গণতন্ত্র অর্জনের লড়াইকে, তেমনি ওই সময়ের প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে বিশ্লেষণ করা হয় ইতিহাস ও বর্তমানকে। এখানে নূর হোসেন সম্পর্কে তার মা, বড় ভাইয়ের মতো ঘনিষ্ঠজনদের যেমন বক্তব্য নেওয়া হয়, তেমনি নেওয়া হয়েছে দেশের অনেক শিল্পী-সাহিত্যিক-রাজনীতিক-সাংবাদিক-কলামিস্ট-ফটোগ্রাফারসহ বিভিন্ন বিশিষ্টজনের বক্তব্য।
পরিচালক মঈনুল শাওন তার এ ছবি নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’ প্রামাণ্যচিত্রটিতে শহীদ নূর হোসেনের গণতন্ত্রের জন্য আত্মত্যাগকে সামনে রেখে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বর্তমানকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রযোজক হাসান আবেদুর রেজা জুয়েল জানালেন, শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে এ ছবিটি নির্মাণ করার স্বপ্ন দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে নিজের মধ্যে লালন করেছেন।
প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন নূর হোসেনের বড় ভাই আলী হোসেন।
২২ নভেম্বর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের এ প্রামাণ্যচিত্রটির আনুষ্ঠানিক প্রিমিয়ার শো হবে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৩১৫, নভেম্বর ১১, ২০১০