আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ নভেম্বর বুধবার থেকে শুরু হয়েছে ১৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। প্রবীণ আলোকচিত্রী ও চিত্রগ্রাহক রামানন্দ সেনগুপ্ত আট দিন ব্যাপি এই উৎসব উদ্বোধন করেন।
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। উৎসবে ৩৯টি দেশের মোট ১২৭টি ছবি প্রদর্শন করা হবে। যার মধ্যে ভারতীয় ছবি থাকছে ৮৭টি এবং বিদেশি ছবি আছে ৪০টি। উদ্বোধনী পর্ব শেষে নন্দনে প্রদর্শিত হয়েছে কোস্টারিকার পরিচালক হিলডা মার্কেজের ‘অব লাভ অ্যান্ড আদার ডেমনস’ ছবিটি।
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা এবারও কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের একাধিক ছবি। এর মধ্যে রয়েছে মোরশেদুল ইসলামের ‘প্রিয়তমেষু’, গোলাম রাব্বানী বিপবের ‘বৃত্তের বাইরে’ এবং সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘গঙ্গাযাত্রা’। এই তিনটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবির পাশাপাশি উৎসবে দেখানো হবে তানভীর মোকাম্মেলের তিনটি প্রামাণ্যচিত্র ‘কর্ণফুলীর কান্না’, ‘অচিন পাখি’ ও ‘স্বপ্নভূমি’।
এবার কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ সত্যজিৎ রায়ের ‘সিকিম’ ছবিটি। এটি তৈরি করা হয়েছিল ৪০ বছর আগে, ছবিটি এবারই প্রথম প্রদর্শিত হচ্ছে। তবে ছবিটি নিয়ে তৈরি হয়েছে বির্তক। সিকিমের বেসরকারী সংগঠন ‘দ্য আর্ট এন্ড কালচার ট্রাষ্ট অব সিকিম’ অভিযোগ’ তুলেছে ছবিটির সম্পূর্ণ সত্ত্ব তাদের। অথচ উৎসবে তাদের পাশ কাটিয়ে পাইরেসির মাধ্যমে ‘সিকিম’ ছবিটি প্রদর্শণ করা হচ্ছে। উৎসব কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, যথাযথ অনুমতি নিয়েই তারা ছবিটি প্রদর্শণ করছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবর্ষ উপলে এবারের উৎসবে রয়েছে বিশেষ আয়োজন। রবীন্দ্রনাথের কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ছবি ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’, ‘চারুলতা’, ‘অতিথি’, ‘স্ত্রীর পত্র’ ও ‘অর্ঘ্য’ প্রদর্শন করা হবে। এছাড়াও খ্যাতিমান পরিচালক আকিরা কুরোসাওয়ার ৭টি ছবি উৎসবে প্রদর্শিত হবে। উৎসবে প্রতিদিন নন্দনের ২টি হলে ৪ থেকে ৬টি ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৬১০ নভেম্বর ১১, ২০১০।