ভারতের উত্তর-পূর্বে রাজ্য সিকিমের জেলা আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া অস্কার জয়ী সত্যজিৎ রায়ের প্রামাণ্য চিত্র ‘সিকিম’-কে ফের প্রর্দশনের জন্য আবেদন জানিয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসব কমিটি।
কলকাতার নন্দনে উৎসব প্রাঙ্গনে বাংলানিউজকে এই সংবাদ জানিয়ে চলচিত্র উৎসবের ডিরেক্টার নীলাঞ্জান চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সিকিম’ ছবিটি দেখানোর অনুমতি চেয়ে আমরা আর্ট অ্যান্ড কালচার ট্রাস্ট অব সিকিম-এর কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি।
আবেদন জানায়। কেবল একটি প্রদর্শনীর পর আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে উৎসবে ‘সিকিম’ ছবিটি দেখানো বন্ধ হয়ে যায়।
উৎসবের মুখপাত্র নীলাঞ্জান চট্টোপাধ্যায় আরো বলেন, চলচিত্রপ্রেমী দর্শকদের কথা ভেবে ওই সংগঠনটি আমাদের সিকিম দেখানোর অনুমতি দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এতে ছবিটি ঘিরে দর্শকদের কৌতুহল পূরণ করা সম্ভব হবে।
এদিকে এক সময় নিষিদ্ধ থাকা এই প্রামাণ্যচিত্রটি কীভাবে প্রর্দশন করা হল চলচিত্র উৎসবে তা নিয়ে কলকাতায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেথা দিয়েছে। এই প্রামাণ্য চিত্রটির বর্তমান স্বত্বাধিকারী ‘আর্ট এ্যান্ড কালচার ট্রাস্ট অব সিকিম’-এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি উগোন চোপেল আদালতে এই প্রশ্ন তুলেছেন। উৎসবে ‘সিকিম’-এর যে ডিভিডি-টি দেখানো হচ্ছিল সেটা কী পাইরেটেড কপি তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠছে।
জানা গেছে, ভারতের সেন্সর বোর্ডের কাছে এই প্রামাণ্যচিত্রটির ডিভিডি চেয়েছিল উৎসব কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বোর্ড তা দিতে পারেনি। তাহলে এই ডিভিডিটির কপি কোথা থেকে এল? উৎসবের ডিরেক্টার নীলাঞ্জান চট্টোপাধ্যায় বলছেন, কোথা থেকে পাওয়া গেছে বলা যাবে না। আমরা কোনো ধরণের জটিলতার মধ্যে যেতে রাজি নই।
১৯৭১ সালে সিকিমের রাজা চোগিয়ালের অনুরোধে ইংরেজিতে ছবিটি নির্মাণ করেন সত্যজিৎ রায়। ১৯৭৫ সালে গনভোটের পর সিকিমে ভারতের ২২তম রাজ্য রূপে ঘোষিত হয়। এরপর থেকেই এই ছবিটির কোন নেগেটিভ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে দুটি প্রিন্ট পাওয়া যায়। একটি সিকিমে, অন্যটি লন্ডনের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে। দুটি প্রিন্টের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।
এ বিষয়ে সর্বশেষ জানা গেছে, সত্যজিৎ রায়ের ছবির লন্ডনের পরিবেশক কনটেম্পোরারি ফিল্মস-এর কাছে পাওয়া প্রিন্টটিকে এখন পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করছে আকাদেমি অব মোশন পিকর্চাস আর্টস এ্যান্ড সায়েন্সেস।
বাংলাদেশ সময়: ১৬.১৫ ঘন্টা, ১৪ নভেম্বর. ২০১০