টোকাইদের ‘পিচ্চি’ বলে ডাকার প্রবণতা বাংলাদেশে প্রবল। আর ভারতীয় সমাজে তাদের ডাকা হয় ‘ছোটু’ বলে।
আগামী জানুয়ারিতে ছবিটি মুক্তি পাবে বলে ঘোষণা দেওয়া আছে। তবে ইতিমধ্যে এই ছবি ১৬টি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে এবং অর্জন করেছে ব্যাপক প্রশংসা।
খ্যাতিমান ওড়িশি পরিচালক নীলা মাধব পান্ডা তার এই প্রথম হিন্দি ছবিটিতে তুলে ধরেছেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবন। তিনি এর মাধ্যমে জাগিয়ে তুলতে চান এসব শিশুদের প্রতি সুবিধাপ্রাপ্তদের দায়িত্ববোধ।
তিনি বিশ্বাস করেন, ছবিটি বিশ্বমানবতার জয়গান গাওয়ার পাশাপাশি বিশ্বমানের ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে জায়গা করে নেবে।
ছবিটির প্রধান চরিত্রে আনা হয়েছে হর্ষ মায়ারকে। দিল্লির ১২-বছর বয়সী এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুটির সঙ্গে আরো অভিনয় করেছেন ফরাসি নাট্যাভিনেত্রী বিয়াট্রিস অড্রি, বলিউড তারকা গুলশান গ্রোভার এবং আরেক শিশু শিল্পী হুসাইন সাদ।
ভারতের রাজস্থানে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত এক ‘ছোটু’ তার মায়ের ইচ্ছায় কাজ নেয় খাবারের দোকানে। এক রাজপরিবারের কিশোর সেই দোকানের দামি ক্রেতা। ধনী পরিবারে জন্ম বলে কিশোরটির রয়েছে শখ মেটানোর যাবতীয় উপকরণ। তবে ভারতীয় সমাজ-জীবন থেকে সে বহু দূরে। এমনি এক পরিস্থিতিতে ‘ছোটু’র সঙ্গে তার সখ্য হয়।
টোকাইয়ের আবার নাম কী- এমন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘ছোটু’ তার নাম রাখে ‘কালাম’। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামের নামে। এই স্বনামধন্য বিজ্ঞানী ভাগ্যর চেয়ে কাজকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। ‘আমি বলিউডে এবং এর বাইরে প্রায় চারশ ছবিতে অভিনয় করেছি। তবে ‘আই অ্যাম কালাম’ ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা একেবারেই আলাদা। ছবিটির কাহিনী খুবই সাবলীল। অনেক রোমাঞ্চকর ঘটনা রয়েছে। আর ছবিতে আমার চরিত্রটি অসাধারণ’-- কথাগুলো বললেন গুলশান গ্রোভার।
ছবিটি এখনো মুক্তি না পেলেও পরিচালক এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেটিও শুরু হবে আগামী বছরের শুরুতে। ‘এটি একটি ট্রিলজি হবে। তবে প্রথম পর্বটির মতো পরবর্তী পর্বগুলোতে ড. কালামের প্রভাব থাকবে না,’ সম্প্রতি দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন ঘোষণা দিলেন ৩৭-বছর বয়সের এই ছবির পরিচালক।
সত্যজিৎ রায়ের অপু ট্রিলজির মতো হবে পান্ডার ট্রিলজিটি। তবে সব পর্বেই তিনি শিশুর শিক্ষার অধিকার তুলে ধরবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৮২৩, নভেম্বর ২৩, ২০১০