মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে মঞ্চনাটকের চর্চা বেশভালো ভাবেই শুরু হয়। ধীরে ধীরে দেশে থিয়েটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
সংগঠনটি তিন দশক পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ২৬ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমীর পরীণ থিয়েটার হলে এক উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হবে উৎসব । এ আয়োজন সম্পর্কে উৎসব আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান বলেন, ‘ভাবতেই ভালো লাগছে আমাদের এই সংগঠনটি হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ ৩০ বছরে এসে পৌঁছেছে। এ সংগঠনকে আমরা আরও শতবর্ষ সক্রিয়ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ’
ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক মীর জাহিদ হাসান জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর থাকছে দেশের নারী নাট্যকর্মীদের নিয়ে নারী নাট্যকর্মী সম্মিলন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সব সময়ই নারী নাট্যকর্মীর সংকট থাকে। কিন্তু নারী কর্মীরা সমস্যা এড়িয়ে পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের মঞ্চনাটককে সমৃদ্ধ করে যাচ্ছেন। তাদের জন্য আলাদাভাবে একটি সম্মেলন করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের অনেক দিনের। এবার সেটা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বলে খুব ভালো লাগছে। ’
উদ্বোধনী দিনে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আরণ্যক নাট্যদল মঞ্চায়ন করবে ‘রাঢ়াঙ’। একদিন বিরতি দিয়ে ২৮ নভেম্বর রোববার বিকেল ৪টায় থাকছে মঞ্চনাটকের প্রয়োগকর্মী সম্মিলন । ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ‘প্রাচ্যনাট’ মঞ্চায়ন করবে ‘রাজা এবং অন্যান্য’। শেষ দিন ২৯ নভেম্বর বিকেল ৪টায় একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজনদের সম্মাননা জানানো হবে। সম্মাননা প্রদান শেষে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আকতারুজ্জামানকে আহ্বায়ক, চন্দন রেজাকে সদস্য সচিব এবং আহাম্মেদ গিয়াস, মীর জাহিদ হাসান ও খোরশেদুল আলমকে সদস্য করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ০০৪৫, নভেম্বর ২৬, ২০১০