শহীদ মুনীর চৌধুরীর কৃতিত্ব ও অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে তার জন্মজয়ন্তিতে প্রদান করা হয় ‘মুনীর চৌধুরী সম্মাননা’। বাংলাদেশে থিয়েটার আন্দোলনের অনন্য প্রতিভা মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মরণে প্রদান করা হয় ‘মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতি পদক’ ।
এবারের ‘মুনীর চৌধুরী সম্মাননা’ পদক প্রদান করা হয় অধ্যাপক আবদুস সেলিমকে। নাটক রচনা এবং অনুবাদের জন্য তাকে এ পদকে ভূষিত করা হয়। এ পদকের অর্থমূল্য ২৫ হাজার টাকা, যা জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী এবং মেহের কবীরের সৌজন্যে প্রদান করা হয়। ১৯৮৯ সাল থেকে নাটকে বিভিন্ন ধরনের অবদানের জন্য এ পদক প্রদান করা হয়। প্রতি বছরই একজনকে এ পদক দেওয়া হয়।
‘মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতি পদক’ প্রদান করা হয় তরুণ নাট্য নির্দেশক অসীম দাশকে। দীর্ঘদিনের নাট্যচর্চায় তার অবদান, বিশেষ করে নির্দেশনার নৈপুণ্যের জন্য তাকে এ পদক দেওয়া হয়। তরুর নাট্যকর্মীদের উৎসাহিত করতে প্রবর্তন করা হয় এ পদক। ১৯৯৭ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এ পদক প্রদান করা হয়। এ পদকের অথ্যমূল্য ১৫ হাজার টাকা। রামেন্দু মজুমদার এবং ফেরদৌসী মজুমদারের সৌজন্যে এটি প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘পরাধীন দেশে থেকে মুনীর চৌধুরী যে বহুমুখী প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন, আমরা স্বাধীন দেশে থেকে কে কী করছি। এ সময় তিনি মুনীর চৌধুরীর সাহিত্য এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করেন। ’
সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, ‘মুনীর চৌধুরীর মতো শত শত মানুষকে যুদ্ধাপরাধীরা হত্যা করেছে। সরকারকে এ অপরাধের বিচার করতেই হবে । আইনি জটিলতা দেখিয়ে এ বিচারকার্য বিলম্ব করার কোনও অবকাশ নেই। ’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেরদৌসী মজুমদার । পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন রামেন্দু মজুমদার।
পদক প্রদান শেষে মুনীর চৌধুরীর লেখা ‘একতলা দোতলা’ নাটকের পাঠাভিনয় করা হয় । এতে রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদারসহ থিয়েটারের আরও তিনজন নাট্যকর্মী অংশ নেন। এ নাটকটি ছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম টিভি নাটক।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৩১৫, নভেম্বর ২৮, ২০১০