মঞ্চনাটক একটি সম্মিলিত প্রয়াস। অভিনয়ের পাশাপাশি এখানে প্রয়োজন হয় আলোক, সেট, পোশাক এবং মঞ্চ পরিকল্পনার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সারা দেশের প্রায় ৫০ জন ডিজাইনার। তারা প্রত্যেকে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং কীভাবে এটিকে পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তাও আলোচনা করেন। ডিজাইনারদের কাজের ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করে নবীনদের দিকনির্দেশনা দেন আলোক পরিকল্পক ঠান্ডু রায়হান এবং নাসিরুল হক খোকন। আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশে এটি যেমন পেশা হিসেবে এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তেমনি এর জন্য শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত নয়।
এ আয়োজনটি বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ৩০ বছর পূর্তি উৎসবের একটি অংশ। এ আয়োজন সম্পর্কে উৎসব আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান বলেন, ‘প্রত্যেকের মধ্যে চিন্তার আদান-প্রদান এবং সম্মিলিতভাবে কাজ করে নাট্য আন্দোলনকে জোরদার করার জন্যই এ আয়োজন। ’
ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ঝুনা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘কাজটা আমরা শুরু করলাম। আমরা প্রত্যেকের বক্তব্যের পাশাপাশি লিখিতভাবেও তাদের সমস্যার কথা জেনেছি। আমাদের পরিকল্পনা আছে আগামী জানুয়ারির দিকে একটি ডিজাইনার কর্মশালার আয়োজন করার। ’
অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন শাহ আলম দুলাল এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলী লাকী।
উৎসবের শেষ দিন আগামীকাল ২৯ নভেম্বর বিকেল ৪টায় মহিলা সমিতি থেকে একটি আনন্দর্যালি বের করা হবে। সন্ধ্যা ৬টায় একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজনদের সম্মাননা জানানো হবে। সম্মাননা প্রদান শেষে থাকবে নৃত্যানুষ্ঠান।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২১২৫, নভেম্বর ২৮, ২০১০