‘এবার গিয়ে দেখলাম সোয়াজিল্যান্ডের তিন প্রতিনিধি তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে জাতিসংঘের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। তাদের শরীরের ওপরের অংশে দু-তিনটি দড়ি ছাড়া কোনো কাপড় ছিল না ।
কথে ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট আয়েজিত ‘আদিবাসী ও নৃ-তাত্ত্বি¡ক জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক আলোচনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ৬ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো বলেন, ভাষা যত ছোট বা বড় হোক জীবনকে তুলে আনতে হলে সাহিত্যের বিকল্প কোনও কিছু নাই। আর সাহিত্যচর্চার জন্য মাতৃভাষাই শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। সাহিত্য উপলব্ধি ও জাতির উন্নতির জন্য শিক্ষা আপরিহার্য। তাই সব জনগোষ্ঠীকেই শিক্ষিত হতে হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয় এইচ নানাচার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মনিপুরী সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি এ কে শেরাম। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ভাষার সাহিত্যের জন্য আলাদা সাহিত্য পুরস্কার প্রধান করা উচিত। ’ এ সময় তিনি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আদিবাসি তরুণ নেতা দীপায়ন খীসা বলেন, আদিবাসীদের বাজারি আয়োজন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নিজেদের সমস্যার কথা নিজেদেরই লিখতে হবে। নিজেদের বাজারের পণ্য হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করলে কোনো জাতির উন্নতি হবে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কথে ওয়েলয়োর ট্রাস্টের সমন্বয়কারী এবং ‘কথা’ সাহিত্যপত্রিকার সম্পাদক প্রমোদ সিংহ। তিনি এ আয়োজনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাংলানিউজকে বলেন, ‘নিজেদের সমস্যার কথা নিজেদের চেয়ে ভালো আর কে বলতে পারে বা বলবে? তাই সবাইকে আরো সংগঠিত ও আন্তঃসম্পর্কের আরো উন্নয়নের জন্য এ আয়োজন করেছি।
অনুষ্ঠানে কথে ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রকাশনা ‘কথা’র তৃতীয় সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
আলোচনা সভার আগে দিনব্যাপী ছিল আদিবাসী সাহিত্য নিয়ে কর্মশালা। এতে ৪৫টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর তরুণ লেখকরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা শেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে গান পরিবেশন করেন চন্দনা দেবী হাজং। মনিপুরী নৃত্য অংশ নেন লাভলী সিনহা ও কিরণ সিংহ । মালো নৃত্য পরিবেশন করেন শিপ্রা মালো । ত্রিপুরা নৃত্য পরিবেশন করেন চন্দ্রা ত্রিপুরা।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২১২০, ডিসেম্বর ৭, ২০১০