‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ভারতবর্ষ থেকে অনেক অনেক ভালবাসা বয়ে এনেছি’। তারপর ভাঙা ভাঙা বাংলা-আর হিন্দিতে বললেন, ‘আমি ছোটবেলায় মায়ের কাছ থেকে সোনার বাংলার গল্প শুনেছি।
এভাবেই বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান তার বাংলাদেশে আসার অনুভূতি জানালেন। বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম তখন কানায় কানায় পূর্ণ। স্টেডিয়ামের বাইরেও অসংখ্য মানুষ কিং খানকে একনজর দেখার জন্য ঠায় দাঁড়িয়ে। শাহরুখ নাচলেন, নাচালেন। নিজস্ব স্টাইল আর কথার মন্ত্রজালে মুগ্ধ করলেন দর্শকদের।
বাংলাদেশে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘কিং খান লাইভ ইন ঢাকা’-তে শাহরুখের সঙ্গে ১০ ডিসেম্বর রাতে আরো পারফর্ম করেন রানী মুখার্জি, ইশা কোপিকার, অর্জুন রামপাল, শেফালি জরিওয়ালা, সংগীতশিল্পী নিরাজ শ্রীধর, নৃত্যপরিচালক গণেশ হেগডেসহ বলিউড থেকে আসা ৪৮ সদস্যের একটি দল।
শেফালি জরিওয়ালার ‘কাঁটা লাগা’ গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কিং খানের সহশিল্পীদের পরিবেশনা। এরপর মঞ্চে আসেন ইশা কোপিকর। কনসার্ট পুরোপুরিভাবে জমিয়ে তুলেন অর্জুন রামপাল। তিনি অনবদ্য পরিবেশনা শেষে ভাঙা ভাঙা গলায় বলেন, ‘আমি আপনাদের ভালবাসি’। তারপরই মঞ্চে আসে বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকা রানী মুখার্জি। পারফর্ম শেষ করে তিনি বলেন, ‘ঢাকার মানুষের কাছে আমার নাচ কেমন লাগলো? ভালো লাগলে মায়ের কাছে ঢাকা মানুষের গল্প করবো’।
শাহরুখ খান মঞ্চে উঠেন রাত পৌনে নয়টায়। দুটো গানের সঙ্গে পারফর্ম করার পর তিনি দর্শকদের উদ্দেশে কথা বলা শুরু করেন। শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন, সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা, রেজওয়ানা চৌধুরীর বন্যার মতো ব্যক্তিত্বকে। নিজের স্টেজ পারফর্মেন্সের আলাদা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মঞ্চে ডেকে নেন একজোড়া দম্পতি ও কয়েকজন দর্শকদের। তাদের সঙ্গে খুনসুটিতে হাসি-আনন্দের জোয়ার বয়ে যায় দর্শকের মাঝে। কথোপকথনের পাশাপাশি তাদের নিয়ে নাচ-গান পরিবেশনাও ছিল উপভোগ করার মতো। শাহরুখের সঙ্গে রানী মুখার্জির যৌথ পারফর্মেন্স ছিল কনসার্টের অন্যতম আকর্ষণ। ‘ওম শান্তি ওম’ গানের সঙ্গে নাচার মধ্য দিয়ে শেষ হয় ‘কিং খান লাইভ ইন ঢাকা’। বিদায় নেওয়ার আগে শাহরুখ খান আবার বাংলাদেশে আসার প্রত্যয় জানান।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ০০৫০, ডিসেম্বর ১১, ২০১০