বিজয়ের দিনটিকে গানে গানে উদযাপনের জন্য সারা দেশেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ছোট-বড় অনেক কনসার্ট। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এবারের বিজয় দিবসের সবচেয়ে বড় গানের মেলা বসেছিল।
গ্রামীণফোনের আয়োজনে ‘আমার দেশ আমার গর্ব’ নামে এ গানের আয়োজনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবীণ-নবীন শিল্পী অংশ নেন।
বিকেল চারটা ৩১ মিনিটে শিশুরা বিউগল ও ট্র্যাম্পেট বাজিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করে। বাজানো হয় ঢাক-ঢোল-ড্রামস। এরপরই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যে সময়টিতে পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল, ঠিক সেই সময় শিল্পী-দর্শক ও গ্রামীণ ফোনের ৪ হাজার ৮০০ কর্মী সবাই মিলে গেয়েছেন জাতীয় সঙ্গীত। তৈরি হয় আবেগঘন পরিবেশ।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রুনা লায়লা, সৈয়দ আবদুল হাদী, আবদুল জব্বার, খুরশিদ আলম, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, সাদী মোহাম্মদ, এন্ড্রু কিশোর, আবিদা সুলতানা, রফিকুল আলম, ফাতেমা তুজ জোহরা, ফেরদৌস আরা, আইয়ুব বাচ্চু, জেমস, বাপ্পা মজুমদার, আলম আরা মিনু, হাসান, মনির খান, রিজিয়া পারভীন, প্রীতম, লিংকন, এলিটা, কণা, তিশমাসহ কোজআপ তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ ও চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ প্রতিযোগিতার শিল্পীরা।
অনুষ্ঠানের অর্কেস্টা পরিচালনা করেছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। কনসার্টে বাদ্যযন্ত্র হিসেবে আটটি বেহালা, তিনটি অক্টোপ্যাড, তিনটি খোল ও তবলা, পাঁচটি কি-বোর্ড, দুইটি ড্রামস, বাঁশি, একতারা, সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজে ব্যবহার করা ড্রাম ও বিউগেল ব্যবহার করা হয়।
‘আমার দেশ আমার গর্ব’ কনসার্টটি দেশের ১০টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও চারটি এফএম রেডিওতে সরাসরি সম্প্রচার করে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০৩০, ডিসেম্বর ১৬, ২০১০