ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

আজম খান: ১৯৫০-২০১১

আরিফুল ইসলাম আরমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১০

ঢাকা: আজম খান, পুরো নাম মাহবুবুল হক খান। পপগুরু নামেই যিনি পরিচিত।

বাবা  আফতাবউদ্দিন আহমেদ ও মা জোবেদা খাতুন। ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুরের ১০ নম্বর সরকারি কোয়ার্টারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী ও মা সংগীতশিল্পী।

১৯৫৫ সালে প্রথমে আজিমপুরের ঢাকেশ্বরী স্কুলে শিশুশ্রেণীতে ভর্তি হন। এরপর ১৯৫৬ সালে কমলাপুরের প্রভেনশিয়াল স্কুলে প্রাইমারিতে। ১৯৬৫ সালে সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলে বাণিজ্য বিভাগে লেখাপড়া শুরু সেখান থেকেই ১৯৬৮ সালে এসএসসি পাশ করেন।   এরপর ১৯৭০ সালে টিঅ্যান্ডটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর লেখাপড়া আর এগোয়নি।  

১৯৮২ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি দুই মেয়ে এবং এক ছেলের জনক।

মুক্তিযুদ্ধের পর ‘উচ্চরণ’ নামের একটি ব্যান্ডদলের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেন আজম খান। একসময় অংশ নেন বিটিভির এক অনুষ্ঠানে। ১৯৭৪-৭৫ সালের দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘রেললাইনের ঐ বস্তিতে’ শিরোনামের গান গেয়ে হইচই ফেলে দেন তিনি। তার পাড়ার বন্ধু ছিলেন ফিরোজ সাঁই। পরবর্তীকালে তারই মাধ্যমে আজম খান পরিচিত হন ফকির আলমগীর, ফেরদৌস ওয়াহিদ, পিলু মমতাজদের সঙ্গে। এক সঙ্গে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান করেন তারা। ১৯৮২ সালে ‘এক যুগ’ নামে তার প্রথম অডিও ক্যাসেট বের হয়। সব মিলিয়ে তাঁর অডিও ক্যাসেট ও সিডির সংখ্যা ১৭টি। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে বাংলাদেশ, আলাল ও দুলাল, ওরে সালেকা ওরে মালেকা, অভিমানী, আমি যারে চাইরে, হাইকোর্টের মাজারে, এত সুন্দর দুনিয়ায় অন্যতম।

১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানের সময়ে আজম খান পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ৭১-এ যুদ্ধ শুরু হলে তিনি পায়ে হেঁটে আগরতলা চলে যান। সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। সে সময় তার বয়স ছিল ২১ বছর। সেকশন কমান্ডার হিসেবে আজম খান ঢাকা ও এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি গেরিলা আক্রমণেও অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।