ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বলিউডের বর্ষসেরা ১০ গান

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১০

এ বছর বলিউডে এসেছে হরেক রকমের গান। যৌন আবেদনময়ী গান ‘মুন্নি বদনাম হুই’ যেমন আছে, তেমনি আছে হালকা রোমান্টিক গান ‘দিল তোহ বাচ্চা হ্যায় জি’ এবং সুফি মেজাজের ‘সাজদা’।



একইভাবে কোনও শিল্পীর একক রাজত্বও চলেনি এ বছর। প্রীতম চক্রবর্তী থেকে বিশাল শেখর সবাই ছিলেন খ্যাতির পাদপ্রদীপে। সরব ছিলেন বছরজুড়ে। তবে রাহাত ফতেহ আলী খানের অবস্থান সবার ওপরে। তিনি উপহার দিয়েছেন দুটি জনপ্রিয় গান।

সংবাদ মাধ্যম আইএএনএস-এর জরিপে তালিকার শীর্ষে থাকা ১০টি গানের খবর তুলে ধরা হল বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।

দিল তোহ বাচ্চা হ্যায় জি
‘ইশকিয়া’ ছবিটির এই রোমান্টিক গানটি দিয়ে সুন্দরভাবে শুরু হয়েছিল বছরটি। অভিষেক চৌবে পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২৯ জানুয়ারি। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন বিশাল ভরদ্বাজ। আর রাহাত ফতেহ আলী খানের গাওয়া গানটি খুব দ্রুত গতিতেই আকৃষ্ট করেছিল শ্রোতাদের। গানটির সুরারোপ যেন রাজ কাপুরের যুগটাকে মনে করিয়ে দেয়।

সাজদা
শংকর-এহসান-লয় তিন সুরকারের তৈরি সাজদা গানটি গাওয়া হয় ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবিটিতে। করণ জোহর পরিচালিত এ ছবিটি মুক্তি পায় ১২ ফেব্রুয়ারি। এখানেও ছিল রাহাত ফতেহ আলী খানের উপস্থিতি। তবে রাহাতের সঙ্গে রয়েছেন শংকর মহাদেবান ও রিচা শর্মা। সুফি ঢংয়ের এই গানটি শ্রোতাদের মনে বেশ নাড়া দিয়েছে। গানটিতে তবলার সঙ্গে ঢোলের সঙ্গত সত্যিই অসাধারণ। সম্ভবত গানটি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবে।

আপ কা কিয়া হোগা
মিকা সিং, সুনিধি চৌহান এবং সাজিদ খানের গাওয়া এই রিমিক্স গানটি ‘হাউসফুল’ ছবির। সুরারোপ করেছেন শংকর, এহসান, লয়। গানটি মনে করিয়ে দেয় ‘লাওয়ারিশ’ ছবিতে অমিতাভের গাওয়া ‘আপনি তো জেইসে টেইসে’ জনপ্রিয় গানটির কথা।

সাজিদ খান পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পায় ৩০ এপ্রিল।

বিন তেরে
গানটি গেয়েছেন শফকাত আমানত আলী। ‘আই হেইট লাভ স্টোরিস’ ছবিটি থেকে নেওয়া এই গানটি শ্রোতাদের হৃদয়ের সুপ্ত প্রেম-বাসনাকেও যেন জাগিয়ে তোলে। সঙ্গীত পরিচালক বিশাল দাদলানি ও শেখর রাভিজিয়ানি দুজনে মিলে সুরারোপ করেছেন এই সাধারণ কথার সুরেলা গানটি।

পি লুন
ক্রাইম থ্রিলার ‘ওয়ানস আপন অ্যা টাইম ইন মুম্বাই’র কোমল রোমান্টিক গান ‘পি লুন’। এখনো বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে গানটি বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। কান পাতলেই যেন শোনা যায়। প্রীতম চক্রবর্তীর সুর আর মোহিত চৌহানের কণ্ঠ গানটিকে পরিচিত ও মহিমান্বিত করেছে। দিয়েছে জাদুর ছোঁয়া। গানটিতে রয়েছে সুফি প্রভাব।

এছাড়া তালিকায় রয়েছে ‘গাল মিঠি মিঠি’। পাঞ্জাবি লোকসঙ্গীত ধাঁচে গানটি সুর করেছেন অমিত ত্রিবেদি এবং কণ্ঠ দিয়েছেন তোচি রাইনা। ললিত পন্ডিতের সুরে এবং মমতা শর্মা ও ঐশ্বরিয়ার কণ্ঠে ‘মুন্নি বদনাম হুই’। শিল্পী ভ্রাতৃদ্বয় সাজিদ ও ওয়াজিদের সুরে এবং রাহাত ফতেহ আলী খানের গাওয়া ‘তেরে মাস্ত মাস্ত দো’। প্রীতমের সুরে এবং ডালের মেহেন্দি, রিচা শর্মা ও মাস্টার সালিমের কণ্ঠে ‘ঝড় কা ঝাটকা’।

শীর্ষ দশের তালিকা পূর্ণ করেছে বিশাল ও শেখরের সুরে এবং সুনীতি চৌহানের কণ্ঠে ‘শেইলা কি জোয়ানি’।

বাংলাদেশ সময় ১৭৩০, ডিসেম্বর ২৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।