‘কোনও অভিনেতা যখন একটা চরিত্রে খুব ভালো করে অর্থাৎ বাজারে হিট করে তখন অন্য পরিচালকরা সে অভিনেতাকে একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করাতে চান। আমি হলাম সে ধরনের একজন অভিনেতা।
শরাফ আহমেদ জীবনের নতুন ধারাবাহিক ‘কামিং সুন’। এ উপলক্ষে তিনি রাজধানীর চায়না কিচেনে সাংবাদিক এবং ধারাবাহিকের বেশ কজন অভিনেতাকে নিয়ে একটি আড্ডার আয়োজন করেন। জীবন সম্পর্কে মোশাররফ করিমের কথায় সায় জানিয়ে অভিনেতা কচি খন্দকারও যোগ করেন, ‘সে খুবই কনফিউজড নির্মাতা। সবসময় ভাবে, হলো কী হলো না। এজন্যই সে ভালো নির্মাণ করছে। প্রথম দিকে সে টাকা দিতে কার্পণ্য করত। আশার বিষয় এখন তা করে না। এসব কারণেই বারবার তার সাথে কাজ করতে চাই। ’ তার কথায় আড্ডায় হাসির রোল পড়ে।
এর জবাবে পরিচালক শরাফ আহমেদ জীবন বলেন, ‘জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, সব কিছুর দাম বেড়েছে, তবে চ্যানেলগুলো সেই আগের দামেই নাটক কিনতে চায়। আমি চ্যানেলগুলোর মতো করে নাটক বানাতে পারি না। তাই মাঝখানে কিছুদিন নাটক বানানো বাদ দিয়ে গ্রামে গিয়ে ‘ফিশারি’র ব্যবসা করার চেষ্টা করেছি। দেখলাম নাটক নির্মাণের চেয়ে ভালো আর কোনও কাজ পারি না। এর মধ্যে বিজ্ঞাপন নির্মাণ করে কিছু টাকা হয়েছিল। তাই আবার নাটক নির্মাণ এলাম। এটিএন বাংলার সাথে কথা হয়েছে, আশা করছি নাটকটি তারা প্রচার করবে। ’
এভাবেই আড্ডা চলতে থাকে। এর মধ্যে যোগ দেন মারজুক রাসেল। তিনি তার স্বভাবজাত মোটা গলায় বলেন, জীবনের কাজ আমার ভালো লাগে। এ কাজটি নিয়ে আমরা আশাবাদী।
জীবন জানান, মোহিত কামালের ‘মায়াবতী’ উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে নাটকটি লেখা হয়েছে। সিমু নাসের এবং আমি দুজন মিলে নাটক লেখার কাজটি করেছি।
নাটকের গল্পটা বেশ ব্যতিক্রম । জাপান থেকে সদ্য ফিরে আসা যুবক ফয়সাল। জাপানে সে বড় একটা চাকরি করত। সেখানে তার জীবন সুখেই কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু সব ছেড়ে সে চলে আসে দেশে। এরাপর ঘটতে থাকে নানা ঘটনা। এভাবেই এগিয়ে যায়। এ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, কচি খন্দকার, মারজুক রাসেল, ইলোরা গহর, মনিরা মিঠু, শায়না, রাহা, ভাবনাহসহ অনেকে।
নাটকটির বেশ কিছু পর্বের শুটিং শেষ। খুব শীঘ্রই দর্শক টিভি পর্দায় এটি দেখতে পাবেন বলে আশাবাদী নির্মাতা।
বাংলাদেশ সময় ১৩৫০, জানুয়ারি ৬, ২০১০