আমাদের শোবিজ দিন দিন বড় হচ্ছে। নতুন নতুন কুশীলব যুক্ত হচ্ছে মিডিয়ায়।
বর্ষা
‘খোঁজ দ্য সার্চ’ ছবিটি করেই লাইম লাইটে চলে আসেন বর্ষা। ২০১০ সালের মার্চে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর পরই নজর কাড়েন নির্মাতাদের। মেরিল বিউটি সোপ আর কেয়া নারিকেল তেলের বিজ্ঞাপনের মডেল হওয়ার পর তাকে ঘিরে তৈরি হয় ক্রেজ। অভিনয় করেন ‘হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ’ ছবিতে। এছাড়া কলকাতার দুটো ছবিতে বর্ষা অভিনয় করছেন। একটি ছবিতে তার বিপরীতে রয়েছে কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক জিৎ। ছোটপর্দায় কাজ করার অসংখ্য অফার এলেও বর্ষা ঠিক করেছেন চলচ্চিত্রেই ক্যারিয়ার গড়বেন।
বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের নায়িকা হওয়ার মতো আকর্ষণীয় অভিব্যক্তি আর ফিগার দুটোই আছে তার। ছোটবেলায় বর্ষা ছিলেন সালমান শাহর ভক্ত। সালমানের এমন কোনো ছবি নেই, যেটা তিনি দেখেননি। স্বপ্ন দেখতেন শাবনূরের মতো অভিনেত্রী হবেন, যেন সালমানের বিপরীতে অভিনয় করতে পারেন। সালমানের বিপরীতে অভিনয় করতে না পারলেও তার স্বপ্ন এখনো মরে যায়নি। স্বপ্নের সেই পথেই তিনি হাঁটছেন। এ মুহূর্তে বর্ষাকে অনেকেই সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নায়িকা মনে করছেন।
আরজু
চলচ্চিত্রের নবীন নায়ক আরজু অভিনীত তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘প্রেম বিষাদ’ মুক্তি পেয়েছে ২০১০-এর শেষ দিন। ছবিটিতে আরেক নবীন নায়িকা প্রিয়াংকার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি। প্রথম সপ্তাহে ছবিটি ভালোই চলছে। আরজুর প্রথম ছবি ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ মুক্তি পায় ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে। ছবির ‘হও যদি তুমি নীল আকাশ আমি মেঘ হবো আকাশে’ গানটি বেশ শ্রোতাপ্রিয়তা পায়।
২০১০ সালের শুরুতে মুক্তি পেয়েছিল আরজু অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘বাজাও বিয়ের বাজনা’। ব্যবসাসফল এ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন জনা। ‘প্রেম বিষাদ’ ও ‘বাজাও বিয়ের বাজনা’ ছবিতে আরজুর সপ্রতিভ পারফর্মেন্স তাকে নিয়ে এসেছে আলোচনায়। শিল্পী সংকটের চলতি দুর্দিনে ঢালিউডের একাধিক নির্মাতা আরজুকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। আরজুও চলচ্চিত্রে স্থায়ী হওয়ার জন্য চালিয়ে যাচ্ছেন কসরত। গত দু বছর ধরে তিনি মডার্ন ড্যান্স আর ফাইটিং শিখছেন। তার হাতে এ মুহূর্তে আছে আরো তিনটি ছবি। সব মিলিয়ে আরজু এখন আছেন সুদিনের অপেক্ষায়।
মিমো
ঢালিউডে শিল্পী সংকট কাটাতে এফডিসি ও এনটিভির যৌথ আয়োজনে ‘সুপার হিরো সুপার হিরোইন’ প্রতিযোগিতার খেতাব বিজয়ী লামিয়া মিমো। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি অনার্সের ছাত্রী মিমোর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে গত বছর। প্রথম অভিনয় শীর্ষনায়ক শাকিব খানের বিপরীতে ‘কিং খান’ ছবিতে। মোহাম্মদ হোসেন জেমী পরিচালিত বিগ বাজেটের এই ছবিটি এখন আছে মুক্তির মিছিলে। মিমো অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘এক জবান’। এফ আই মানিক পরিচালিত এ ছবিটি গত বছর কোরবানির ঈদে মুক্তি পায়।
ডিপজলের এই ছবিটি ২০১০ সালের অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি। মিমো অভিনীত ‘ডন’ নামের আরেকটি ছবি বর্তমানে আছে মুক্তির অপেক্ষায়। এ ছবিতেও মিমো অভিনয় করেছেন শাকিব খানের বিপরীতে। আকর্ষণীয় উচ্চতা ও দেহবল্লরীর অধিকারী মিমোর মাঝে কমার্শিয়াল ফিল্মের একজন হিরোইনের যা যা থাকা দরকার সবই আছে। ছোটবেলায় শেখা নাচটা তার ক্যারিয়ারের প্লাস পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। মিমোর হাতে বর্তমানে রয়েছে আরো দুটি ছবি। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার কারণে এ মুহূর্তে নতুন ছবিতে সাইন করতে পারছেন। চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি ছোটপর্দার তিনি কাজ করতে চান।
নিলয়
‘সুপার হিরো সুপার হিরোইন’ ইভেন্টের আরেক খেতাববিজয়ী নিলয় আলমগীর ছবি মুক্তির আগেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন বাংলালিংকের বিজ্ঞাপন করে। ফিল্মি স্টাইলের এই বিজ্ঞাপনটিতে তার সাবলীল পারফর্মেন্স নজর কেড়েছেন নির্মাতাদেরও। ২০১০ সালে চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে নিলয়ের অভিষেক হয় আনোয়ার জীবন পরিচালিত ‘আদম’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। ছবিটি এখনও আছে মুক্তির অপেক্ষায়। নিলয় অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘বেইলি রোড’। মাসুদ কায়ানাত পরিচালিত এই ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে শিগগিরই। নিলয়ের হাতে এ মুহূর্তে আছে ‘এক পৃথিবীর প্রেম’ নামের একটি ছবি। আরো বেশ কয়েকটি ছবির ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। কিন্তু সাইন না হওয়া পর্যন্ত তিনি ছবির নাম উল্লেখ করতে চাইলেন না।
নিলয় জানালেন, অনেকটা শখের বসেই ‘সুপার হিরো সুপার হিরোইন’ ইভেন্টে নাম লেখান। ফাইনাল রাউন্ডে উঠে আসার পর চলচ্চিত্রে কাজ করার ব্যাপারে সিরিয়াস হন। খেতাব বিজয়ের পর শুরু হয় নিজেকে নায়ক হিসেবে আরো যোগ্য করে গড়ে তোলার প্রস্তুতি। নাচ এবং ফাইটিং শিখছেন। দেখছেন একের পর এক দেশ-বিদেশের ছবি। ফিল্ম আর ফিল্ম, এ ছাড়া তার মাথায় এখন অন্য কিছ নেই।
বাংলাদেশ সময় ২২২০, জানুয়ারি ৬, ২০১১