অভিনেতা রওনক হাসান আর লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার অর্ষা, দুজনেই এর আগে একাধিক বাংলা ছবির অফার পেয়েছেন। পছন্দের গল্প বা চরিত্র না পাওয়ায় কারোই চলচ্চিত্রে অভিনয় করা হয়নি।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহবুব জামিল, ষাটের দশকের চলচ্চিত্র অভিনেতা কাফী খান এবং চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী।
‘ফেরারী ফানুস’ ছবিটির গল্প সম্পর্কে পরিচালক আবীর শ্রেষ্ঠ বললেন, স্বপ্নবাজ তরুণ রওনক একজন মিউজিক কম্পোজার। তার পছন্দের মানুষ শৌখিন সঙ্গীতশিল্পী অর্ষা। রওনকের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন খ্যাতিমান সঙ্গীত পরিচালক হওয়া। সে এমন একটি অ্যালবাম করতে চায়, যে গানে কন্ঠ দেবে তারই মনের মানুষ অর্ষা। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতা তার স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সহযোগিতার হাত বাড়ায় বন্ধুরা। তবে প্রতিবন্ধকতা পিছু ছাড়ে না তাদের। এক দুর্ঘটনায় এলোমেলো হয়ে যায় রওনকের জীবন। ফেরারী হতে থাকে তার কল্পনার ফানুসগুলো, জীবন এগোতে থাকে স্বপ্নহীন, ছন্দহীন অজানা গন্তব্যের দিকে। এমন এক গল্পে এগোতে থাকে ছবির কাহিনী।
শুভ মহরত অনুষ্ঠানে ‘ফেরারী ফানুস’ চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী রওনক হাসান, নাজিয়া হক অর্ষা, সাবেরী আলম, সুমন পাটোয়ারী, দেবাশীষ ফণী, আতিক ও রিজভীকে উপস্থিত সাংবাদিক ও সুধীবৃন্দের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন ছবির নির্মাতা ।
অনুষ্ঠানে ‘ফেরারী ফানুস’ ছবির দুটি অডিও ট্র্যাক বাজিয়ে শোনানো হয়। জানানো হয় ভালবাসা দিবসকে সামনে রেখে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ছবির অডিও সিডি প্রকাশ করা হবে । এ উপলে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চে ‘ফানুস উৎসব’ আয়োজনের আগাম ঘোষণা দেওয়া হয় মহরত অনুষ্ঠানের শেষে। ছবির সঙ্গীতের পুরো কাজটি করেছে তুষার, সকাল এবং সচি। ছবিটির শুটিং লোকেশন ঠিক করা হয়েছে রাঙামাটি, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার, বান্দরবন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে।
বাংলাদেশ সময় ১৭৩০, জানুয়ারি ২০, ২০১১