প্রয়াত নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের এক মহাকাব্যিক সৃষ্টি ‘কিত্তনখোলা’। মঞ্চ ও চলচ্চিত্রের পর এবার এটি নিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ধারবাহিক নাটক।
২০ জানুয়ারি থেকে ধারাবাহিক নাটক ‘কিত্তনখোলা’-এর শুটিং শুরু হয়েছে। এটি প্রযোজনা করেছে ধানসিঁড়ি প্রোডাকশন। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে ধারাবাহিকটির সম্প্রচার শুরু হবে।
একটি মেলা ও যাত্রাদলকে কেন্দ্র করে মানুষের শোষণ-লোভ আর বেদনা-রণ এবং সংগ্রামের কাহিনী ফুটে ওঠেছে ‘কিত্তনখোলা’ নাটকে । এতে একে একে উঠে আসে ভূমিহারা হয়ে যাওয়া দিনমজুর সোনাই, প্রকৃত সাধকশিল্পী শামছল বয়াতী, যাত্রার নায়িকা বনশ্রীবালা, নব্যধনী ও শোষকের অবয়বধানী ইদু কনডাকটার, হতাশাবাদী নিত্য নেশাগ্রহণকারী ছায়ারঞ্জনসহ নৌকাবাসী লাউয়া বা সান্দার সম্প্রদায়ের জীবনযাপন।
কিত্তনখোলার মেলার জন্য সারা বছরই নানা পেশা-শ্রেণীর মানুষ অপো করে। সেখানে শ্রমজীবী মানুষ তাদের নানা পণ্য নিয়ে আসে। কেউ পণ্য বিকোতে আর কেউ কিনতে। আসে যাত্রাদল, চলে কবির লড়াই। ঘটনা পারম্পর্যে ইদু কনডাকটারের কাছে শেষ জমি বন্ধক রাখে সোনাই। ইদু তাকে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে জমিটি নিজের করে নিতে চায়। এজন্য সোনাইকে তার দরকার। কিন্তু সোনাই শেষ ওই জমিটুকু ছাড়তে নারাজ। সে ইদুর হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে পালিয়ে থাকে। এরই মধ্যে মেলা শুরু হয়। সেখানে যাত্রার আসর বসে। ইদু যাত্রার অভিনেত্রী বনশ্রীর কাছে অনৈতিক কিছু দাবি করে বসে । বনশ্রী আত্মগ্লানী কিংবা হয়তো বা অন্য কোনো কারণে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে। সোনাইয়ে সঙ্গে প্রেম হয় লাউয়া মেয়ে ডালিমনের। কিন্তু সম্প্রদায়ের প্রতি বিশ্বস্ত ডালিমন ডাঙ্গার মানুষের সঙ্গে ঘর বাঁধতে পারে না।
ইদুর কাছে শেষ জমিটিও হারায় সোনাই। অবশেষে সোনাইয়ের হাতে খুন হয় ইদু। লাউয়া সম্প্রদায়ত্যাগী এক পুরুষ রুস্তমের আহ্বানে তার সাথেই সোনাই যাত্রা শুরু করে দুখাইপুর অথবা অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।
বাংলদেশ সময় ০০২০, জানুয়ারি ২১, ২০১১