বাংলা অঞ্চলের ইতিহাস নিয়ে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রচার হওয়া বেশিরভাগ সিরিয়ালই ভারতে নির্মিত। হাতেগোনা যে কয়টি ঐতিহাসিক কাহিনীনির্ভর সিরিয়াল নির্মিত হয়েছে তার বেশির ভাগই ছিল দায়সারা।
ষোল শতকের মধ্যভাগে মোগল সম্রাট আকবরের বিরোধিতা শুরু করেন বাংলার বেশ কজন শাসনকর্তা। তাদের মধ্যে অন্যতম দাউদ খান কররানী। স্বাধীনভাবে বঙ্গ শাসনের পাশাপাশি দাউদ খান সম্রাট আকবরের নামের সব মুদ্রা ও খুতবা বাতিল করে নিজ নামে মুদ্রা ও খুতবা পাঠ জারি করেন। এ খবর শুনে সম্রাট আকবর দাউদ খানকে দমন করতে এক বিশাল সৈন্য বাহিনী বঙ্গে প্রেরণ করেন। দাউদ খান যুদ্ধে পরাজিত হন এবং তাকে শিরচ্ছেদ কর হয়। দাউদ খানের মৃত্যুর পর বঙ্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে সব জমিদার একত্র হয়ে বঙ্গের দায়িত্ব ঈসা খাঁর ওপর অর্পণ করেন। ঈসা খাঁ নেতৃত্ব গ্রহণ করে মোগলদের প্রতিরোধ করার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেন এবং বার বার তাদের সঙ্গে মোকাবিলা করে বঙ্গ থেকে হঠিয়ে দেন।
সম্রাট আকবর ঈসা খাঁর দেশপ্রেম ও সাহসিকতা দেখে মুগ্ধ হন এবং তার সঙ্গে একটি সন্ধি করেন। ঈসা খাঁর এই বীরত্বের কাহিনী নিয়ে নির্মিত ধারাবাহিক নাটক ‘বাংলার বার ভুঁইয়া’। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন ডায়েল রহমান।
‘বাংলার বার ভুঁইয়া’ ধারাবাহিকটি প্রসঙ্গে নির্মাতা ডায়েল রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমার পড়াশোনা আর আগ্রহ সবকিছুই ইতিহাস নিয়ে। টিভিতে ইতিহাসভিত্তিক বিভিন্ন ভারতীয় সিরিয়াল দেখে আমার মনে হয়েছে, ওরা পারলে আমরা পারবো না কেন? বাংলার ইতিহাসে ঈসা খাঁ চরিত্রটি আকর্ষণীয় মনে হওয়ায় তাকে নিয়েই কাজ শুরু করলাম। ইতিহাসভিত্তিক কাজে বাজেট একটু বেশি পড়ে, তাই আমি নিজে সবকিছু খুব পরিকল্পনা সাজিয়ে শুটিং শুরু করি। পুরো কাজটির জন্য আমাকে দীর্ঘ সময় গবেষণা করতে হয়েছে। ডায়েল রহমান জানালেন, শিগগিরই তিনি স্বদেশী আন্দোলন নিয়ে একটি ধারাবাহিক নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন।
এটিএন বাংলার নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘বাংলার বার ভুঁইয়া’ প্রতি শনি ও রবিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচারিত হচ্ছে। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শাহেদ, সাবা, খলিল, শ্যামল জাকারিয়া, আফরোজা বানু, মনোজ সেনগুপ্তসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময় ১৩০০, জানুয়ারি ২৮, ২০১১