বিশ্বকাপের জমকালো আসরে দেশীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণ না থাকায় অনেকেই ছিলেন ক্ষুব্ধ। এই নিয়ে শিল্পীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও পপগায়িকা মিলা ছাড়া তেমন কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানাননি।
১৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১-এর জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে এ স্বাগত সঙ্গীতের মাধ্যমে । জুলফিকার রাসেলের কথা আর ইবরার টিপুর সঙ্গীত পরিচালনায় পরিচালনায় এ গানটি বাংলার পাশাপাশি হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় পরিবেশন করা হবে।
গানটি সম্পর্কে ইবরার টিপু বাংলানিউজকে জানালেন, ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের এই গানে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। এতে দোতরা, সানাই থেকে শুরু করে প্রচলিত দেশীয় যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। কাসিক্যাল-ফোক-মডার্ন সুর মিলিয়ে গানটি কম্পোজ করা হয়েছে। গানে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নয়নাভিরাম সুন্দরবনের কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশের জয়ের নেশার কথাও বলা হয়েছে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে কোনো গান গাইবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মিলা। এবার মূল আসরে গান গাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় তার মনের অনুভূতির কথা জানতে চাইলে তিনি বললেন, আমি এক্সাইটেড। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। আইসিসির থিম সং গাইতে না পারলেও ওয়েলকাম সংয়ের তিনটি ভার্সনে আমি কণ্ঠ দিয়েছি, এটা আমার জন্য বিশাল প্রাপ্তি। আমি একটু ঠোঁটকাটা মানুষ বলেই দেশীয় শিল্পীদের অবহেলার বিষয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। মূল আসরে গানের সুযোগ না পেলে সত্যিই বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে সব ধরনের গান গাওয়া থেকে বিরত থাকতাম। ওয়েলকাম সংয়ে কণ্ঠ দেওয়াটাকে আমি এক ধরনের জয় বলে মনে করি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২০০০, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১১