বাংলাদেশের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ও সাংসদ মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা ২০ লাখ রুপির প্রতারণার মামলার অন্যতম বাদী শক্তিশংকর বাগচি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তিনি দিনের পর দিন ভারত সরকারের অনুমতি ছাড়া পর্যটন ভিসায় এ দেশে এসে অনুষ্ঠান করে সরকারি কর দেননি। এবং অবৈধভাবে টাকা বাংলাদেশে নিয়ে গেয়েছেন।
৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কলকাতায় শক্তিশংকর বাগচি বাংলানিউজকে বলেন, মমতাজ আমার বিরুদ্ধে যে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ করেছেন সেই বিষয়ে আমার বক্তব্য, তিনি ২০০৮ সালে কয়েক লাখ রুপি খরচ করে মমতাজের ছবি ও সাক্ষরসহ বিজ্ঞাপন কলকাতার বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্রে দিয়েছিলেন। এতে ছাপা হয়েছিল মমতাজের সাক্ষরসহ চিঠি। এ চিঠিতে মমতাজ তাকে একমাত্র এজেন্টরূপে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তবে এখন কেন ব্ল্যাকমেইলের কথা আসছে?
তিনি বলেন, ২০০৯-এর ৯ মার্চ বাংলাদেশের একটি দৈনিককে মমতাজ বলেছিলেন আমি প্রতারক। আমি বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লা, এ্যান্ড্রু কিশোর ও সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গেও কাজ করেছি। কিন্তু তারা তো এরকম করেননি। বরং আমি ক্ষতিপূরণ চাওয়ায় তার চক্ষু হাসপাতালের জনৈক মঈন ডাক্তার আমায় ফোনে হুমকি দিয়েছে। এর প্রমাণও আছে।
এ দিন তিনি আরও বলেন, আমি মমতাজ বেগমকে চ্যালেঞ্জ করছি। বাংলাদেশের কোনো টিভি চ্যানেলে ওনি আমার মুখোমুখি হন। আমার সব তথ্যপ্রমাণ হাজির করব।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অসীম ব্যানার্জি শিল্পী মমতাজের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ২০ লাখ রুপি প্রতারণা ও মানহানির মামলায় তাকে ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির করার জন্য বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার মুহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৭৩০, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১১