ঢাকা: লোককবি শাহ আবদুল করিম এবং সংগীতগুরু পণ্ডিত রামকানাই দাস আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির দুই কৃতী ব্যক্তিত্ব।
তাঁদের জীবন ও কর্ম নিয়ে সম্প্রতি নিরঞ্জন দে’র পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে দুটি তথ্যচিত্র।
শাহ আবদুল করিম: বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল ভাটি বাংলার প্রাণ পুরুষ । বহু জনপ্রিয় গানের রচয়িতা। তিনি একজন কণ্ঠশিল্পীও বটে। তার গানে দেহতত্ত্ব , প্রেম, প্রকৃতি, গণচেতনা সবকিছুই স্থান পেয়েছে। এর দার্শনিক মূল্য অতি উচ্চ। তিনি ছিলেন গণমানুষের শিল্পী ও লোককবি।
রামকানাই দাস : পণ্ডিত রামকানাই দাস জন্মগতভাবে একটি সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড় হয়েছেন। তার পিতামহ ও পিতা-মাতা গান লিখতেন এবং গাইতেন । শৈশব থেকেই তিনি পারিবারিক পরিবেশে গান শেখেন । তিনি একাধারে শুদ্ধসংগীত বা উচ্চঙ্গ সংগীতের একজন সংগ্রাহক, সংরক এবং প্রচারক।
এই দুই কৃতী ব্যক্তির জীবন ও কর্ম নিয়ে তথ্যচিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে নির্মাণ করেছেন ‘কেমনে চিনিব তোমারে’ এবং ‘সুরের পথিক’ নামক দুইটি তথ্যচিত্র ।
‘কেমনে চিনিব তোমারে’ তথ্যচিত্রটিতে ১৯৯৩ সালে শাহ আব্দুল করিমের নিজ কণ্ঠে ধারণকৃত তার ঘটনাবহুল জীবনের কথা। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ইত্যাদি নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। তার কথায় ফুটে ওঠেছে তৎকালিন গ্রামবাংলার আর্থসামাজিক চিত্র। নানা রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ইত্যাদি। তথ্যচিত্রের ভূমিকায় অংশ নিয়েছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক।
‘সুরের পথিক’ তথ্যচিত্রে পণ্ডিত রাম কানাই দাসের দীর্ঘ সুরময় জীবনের নানা ঘটনা, নানা কাহিনী ফুটে ওঠেছে। তার সংগীত জীবনের বহু মাত্রিকতা এবং গভীরতা একটি শিক্ষণীয় বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১১