বিয়ের পর মাত্র একমাস অপূর্ব-প্রভা একসঙ্গে ছিলেন। তারপর দাম্পত্য কলহের কারণে প্রায় ৫ মাস তারা আলাদা থেকেছেন।
অপূর্ব ও প্রভার পারিবারিক সূত্র তাদের ডিভোর্সের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলানিউজ এ বিষয়ে আলাদাভাবে অপূর্ব ও প্রভার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। অপূর্বের সঙ্গে যোগাযোগ হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। অপূর্ব বলেন, মানসিকভাবে আমি খানিকটা বিপর্যস্ত। এ অবস্থায় আমার পক্ষে কিছু বলা বা মন্তব্য করা সম্ভব নয়। বার বার মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করায় প্রভার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয় নি।
গতবছর ১৯ আগস্ট বুধবার গাজীপুরের পুবাইলে চয়নিকা চৌধুরীর ‘পালিয়ে বিয়ে’ নাটকের শুটিং শেষে গভীর রাতে অভিনেতা অপূর্বর হাত ধরে প্রভা শুটিং স্পট থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরদিন ভোরে ময়মনসিংহে তারা বিয়ে করেন। অপূর্বর সঙ্গে প্রভার সম্পর্কের ব্যাপারে মিডিয়ায় গুঞ্জন ছিল দীর্ঘদিন। কিন্ত গতবছরই ১৬ এপ্রিল রাজধানীর একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে তরুণ ব্যবসায়ী রাজিব হাসানের সঙ্গে সাদিয়া জাহান প্রভার জাঁকজমকপূর্ণ বাগদান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই গুঞ্জনের অবসান হয়।
অপূর্বর সঙ্গে প্রভার পালিয়ে গিয়ে বিয়ের পর একের পর এক ঘটতে থাকে নাটকীয় সব ঘটনা। প্রথম দিকে অপূর্ব-প্রভার দাম্পত্য জীবন বেশ মধুর-ই ছিল। উত্তরায় অপূর্বর পরিবারিক বাড়িতেই তারা সাজিয়েছিলেন স্বপ্নের সংসার। কিন্তু বিয়ের সপ্তাহখানেক পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশে ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে প্রভা ও রাজিবের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের আপত্তিকর কিছু ভিডিও ফুটেজ। এ বিষয়টি নিয়েই অপূর্ব-প্রভার দাম্পত্য জীবনে মেঘ নেমে আসে। কারণ প্রভা অপূর্বকে আশ্বস্ত করেছিল যে, রাজিবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ঠিকই, কিন্তু অন্তরঙ্গ কোনো সম্পর্ক ছিল না।
এই নিয়ে বাদানুবাদের একপর্যায়ে অপূব আর প্রভার মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে বলে জানা যায়। পরবর্তীতে প্রভা তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে। উত্তরায় অপূর্বর বাসা থেকে প্রভাকে তার বাবা এসে নিজের জিম্মায় নিয়ে যান। এরপর প্রভার পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার এই দম্পতির বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হলেও অপূর্ব তাতে সাড়া দেন নি। সবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিক্রমেই তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিয়ে বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে গত শুক্রবার রাতে। প্রভার পরিবারের দাবিকৃত কাবিননামায় উল্লেখিত দেনমোহরের দশ লাখ এক টাকা অপূর্ব পরিশোধ করতে হয়েছে।
প্রভার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রভা শোবিজে কাজ চালিয়ে যেতে চাইলেও তার বাবা আপত্তির কারণে আপাতত কাজ করা থেকে বিরত আছেন। সুইজারল্যান্ডে এক আত্মীয়ের কাছে চলে যাবার চেষ্টা করছেন প্রভা।
মানসিকভাবে ভেঙে পড়া অপূর্বকেও আজকাল শোবিজে খুব কম দেখা যাচ্ছে। প্রভার সঙ্গে সেপারেশনের পর থেকে অপূর্ব নিজের বাসার চার দেয়ালের মধ্যেই বেশির ভাগ সময় কাটান। ঘনিষ্ঠ নির্মাতা ছাড়া আর কারো নাটকে তিনি অভিনয় করছেন না।
বাংলাদেশ সময় ১৮২৫, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১১