‘আমি ভদ্র আর শিক্ষিত পরিবারের সন্তান। আমি মানুষ, জল্লাদ নই।
অপূর্ব-প্রভার ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর প্রভা নিজের কথা জানিয়েছিলেন বাংলানিউজের কাছে। তার কথার রেশ ধরে বহুবার অপূর্বর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অপূর্বর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে অপূর্ব নিজেই ফোন করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
প্রভার অভিযোগের জবাব দিতে নিজের অনীহা কথা জানিয়ে অপূর্ব বলেন, ‘আমি মুখ খুললে সেটা প্রভার জন্য ভালো হবে না। ’
প্রভাকে প্রহার করার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। নিজের ক্ষোভ আর কষ্ট আমি নিজের মধ্যেই চেপে রেখেছিলাম। প্রভাকে আমি সময় দিতে চেয়েছি। যাতে সবকিছু সে সামলে নিতে পারে। আমি তার পাশেই ছিলাম। যাতে সে আত্মঘাতী না হয়। কারণ সময়ের ব্যবধানে সবকিছু সহনীয় হয়ে যায়। কারো পক্ষেই ওরকম ভিডিও ফুটেজ দেখার পর সেই স্ত্রীকে মেনে নিয়ে তার সঙ্গে সংসার করা সম্ভব ছিল না। কিন্তু প্রভার যেন আরো বড় কোনো ক্ষতি না হয়, তাই আমি তৎক্ষণিকভাবে তাকে ত্যাগ করিনি। আমার এই মনোভাবের কথাও পরে প্রভাকে জানিয়েছি। ‘
দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ প্রসঙ্গে অপূর্ব বললেন, ‘এই সামান্য অংকের টাকাটাকেই যে প্রভা এতো বড় করে তুলে ধরবে, তা ছিল আমার ধারণার বাইরে। এই তুচ্ছ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করে আমাদের বাবা-মাকে আমি ছোট করতে চাই না। ’
সবশেষে অপূর্ব বলেন, ‘প্রভা আর রাজীবের দু’জনই আসলে একরকম। দুজনই প্রতিহিংসাপরায়ন। যখন তারা যার সঙ্গে থাকে পারলে তার জন্য জীবন দিয়ে দেয়। আর তাদের মনমতো না হলেই প্রতিহিংসায় জ্বলে ওঠে। আমি মিডিয়ায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছি বলেই এটা প্রভার সহ্য হচ্ছে না। আমার ক্যারিয়ার ধবংস করার জন্য সে এখন যা-তা বলে বেড়াচ্ছে। এতে প্রভা নিজেও যে কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা অনুমান করতে পারছে না। ’
অপূর্বর মন্তব্য প্রভাকে জানানো হলে তিনি বললেন, ‘আমি আমার ভুলের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাইছি। সবকিছু বিচারের ভার তার উপরই আমি ছেড়ে দিতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, সত্য কোনোদিন ঢাকা থাকে না। আমি শুধু এটুকুই বলবো, এতো বড় বিপর্যয়ের পর আমার আর মিথ্যাচারের কোনো প্রয়োজন পড়ে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৫, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১১