বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন ‘মনপুরা’ খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফারহানা মিলি। তার হবু বর রাশিদুল ইসলাম শাওন পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার।
অভিনেত্রী ফারহানা মিলির বাগদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় উভয়পক্ষের শতাধিক আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে। অনুষ্ঠানে মিডিয়ার কেউই উপস্থিত ছিলেন না। ফারহানা মিলি জানান, মা বাবার পছন্দের পাত্রকেই নিজের জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বাগদান অনুষ্ঠানে মিডিয়ার কাউকে জানাতে না পারলেও বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি মিডিয়ার সবাইকে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে বাংলানিউজকে জানান।
অভিনেত্রী ফারহানা মিলির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় দুই মাস ধরে উভয় পক্ষের পরিবারের মধ্যে নানা কথাবার্তা ও সমঝোতার এক পর্যায়ে ৪ জুন শনিবার বিয়ের দিন-তারিখ চুড়ান্ত করা হয়। ১৮ মার্চ শুক্রবার রাতে ঘরোয়াভাবে বাগদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফারহানা মিলি ও রাশিদুল ইসলাম শাওনের আংটিবদল সম্পন্ন হয়। অবশ্য বিয়ের আগেরদিনই তাদের কাবিন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ফরাহানা মিলির বাবা মো: আফতাবুজ্জামান।
অভিনেত্রী ফারহানা মিলির মিডিয়ায় অভিষেক নাটকের মাধ্যমে হলেও গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ ছবিতে পরী চরিত্রে অভিনয় তাকে এনে দেয় তারকাখ্যাতি। বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনেও মডেল হয়েছিলেন। ফারাহানা মিলি অভিনীত নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘অপরাহ্নের গল্প’, ‘আয়েশার ইতিকথা’, ‘চা অথবা কফি’, ‘একজন মেকাপম্যান অথবা নিরবতার গল্প’, ‘স্বপ্ন ফিরেছে বাড়ি’, ‘পলাশের রং’, ‘ পরীর কথা’, ‘মন্দ ভাগ্য নয় মন্দ বিশ্বাস’ ইত্যাদি। বর্তমানে ফারহানা মিলি দুটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছেন। যার মধ্যে একটি গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘সবুজ নক্ষত্র’, অন্যটি সুমন আনোয়ারের ‘দূর পাহাড়ের বাতাসেরা’।
ফারহানা মিলির হবু স্বামী রাশিদুল ইসলাম শাওনের গ্রামের বাড়ি মাগুড়ায় হলেও তার পুরো পরিবার এখন চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। শাওন ২০০৫ সালে কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি এরিকসন বাংলাদেশ লিমিটেডে সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।
ফারহানা মিলি তার আগামী জীবনের জন্য সবার কাছে বাংলানিউজের মাধ্যমে দোয়া কামনা করেছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৭৩০, মার্চ ১৯, ২০১১