আমরা সবাই চাই প্রাণ খুলে হাসতে। অনেকের মতে, হাসি বাড়িয়ে দেয় আয়ু।
হাসান ইউসুফ খানের প্রযোজনা, খায়রুল বাবুই-এর গ্রন্থনা ও গবেষণা এবং মোশাররফ খান ইয়াফীর উপস্থাপনায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জোকস পারফর্মেন্সভিত্তিক এই অনুষ্ঠানটি প্রচার হচ্ছে এনটিভিতে প্রতি শনিবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে।
‘হা-শো’ ইভেন্টে প্রাথমিকভাবে অংশ নেয় সারা দেশের কয়েক হাজার প্রতিযোগী। তাদের মধ্য থেকে বিচারক প্যানেলের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ৭০জন প্রতিযোগীকে নির্বাচিত করা হয় ইভেন্টে ২য় পর্বের অডিশনের জন্য। এই অডিশন থেকে বাছাই করা ৫১ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে চলে ছয় দিন ব্যাপী গ্রমিং সেশন।
গ্রুমিং পর্ব শেষে চূড়ান্তভাবে ৪৫ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে শুরু হয় প্রথম রাউন্ডের মূল প্রতিযোগিতা। প্রথম রাউন্ডের পারফমের্ন্সে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ২৫ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ২য় রাউন্ড। ২৫ থেকে সেরা ১৫ জন পারফর্মারকে নিয়ে এখন চলছে ৩য় রাউন্ডের লড়াই। ৩য় রাউন্ড শেষে সেরা ১০ প্রতিযোগিকে নিয়ে শুরু হবে কোয়ার্টার ফাইনাল। সেখান থেকে সেরা ৬ প্রতিযোগী লড়াইয়ে নামবে ‘হা-শো-২০১০’ এর চ্যাম্পিয়ন খেতাবটি জিতে নেবের জন্য। এরই মধ্যে অনুষ্ঠানটির সবকটি পর্বের ধারণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর মাত্র কয়েকপর্ব শেষেই পাওয়া যাবে দেশের প্রথম সেরা জোকস-বলিয়ে।
‘হা-শো’ অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে প্রযোজক হাসান ইউসুফ খান বলেন, এনটিভির একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা থেকেই আসলে ‘হা-শো’ এর সূত্রপাত। আমরা দুবছর আগে এনটিভির বর্ষপূর্তি উপলে একটি জোকসের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করি। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল রঙ্গশালা। অনুষ্ঠানটির ধরণ ছিল কিছু সেলিব্রেটি আর্টিস্টকে দিয়ে জোকস বলানো। ওই অনুষ্ঠানটির সফলতার পর পরবর্তী সময়ে আরও দুটি পর্ব করা হয়। মূলত তার পরই হা-শো’র অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা। আশা করছি স্বার্থকতার সঙ্গেই পুরো আয়োজনটি শেষ করতে পারবো।
অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা ও গবেষণা প্রধান খায়রুল বাবুই বলেন, দেশে এই প্রথম কোনো প্রতিযোগিতামূলক জোকস শো-এর আয়োজন করা হয়েছে। আমরা এই অনুষ্ঠানে চেষ্টা করেছি দেশীয় সংস্কৃতির ভাবধারায় সম্পূর্ণ একটি হাসির অনুষ্ঠান নির্মাণ করতে। অনুষ্ঠানটির করতে গিয়ে আমাদের মাথায় রাখতে হয়েছে যে কোনো ধর্ম, রাজনীতি বা নির্দিষ্ট পেশার কোনো ব্যক্তিকে সরাসরি যেন কটা করা না হয়। জোকস নির্বাচনের ক্ষেত্রে জোর দিয়েছি রুচিবোধের জায়গায়। অনুষ্ঠানটি দেখে কেউ যেন কোনোভাবেই বিব্রত না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল ছিল। একটা পরিবারের সব সদস্য যেন যেন একসঙ্গে বসে প্রোগ্রামটি দেখতে পায় সে হিসেবেই আমরা হা-শোর কনটেন্ট নির্বাচন করেছি। এতদিন পর এসে বলতে পারি, সেদিক থেকে আমরা কিছুটা হলেও সফল হয়েছি।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মোশাররফ খান ইয়াফি বলেন, আমি গত বছর পার্শ্ববর্তী দেশের একটি জনপ্রিয় জোকস-এর প্রোগ্রামে কাজ করি। সেমিফাইনাল পর্যন্ত তাদের সঙ্গে সতেরটি পর্ব করি। ওখানে কাজ করার সময়ই আমার বিশ্বাস ছিল বাংলাদেশেও এ ধরনের একটা প্রোগ্রাম করা যায়। আমাদের সেই চেষ্টার ফসল ‘হা-শো’। দর্শকদের সুস্থ রুচি বা সুস্থ বিনোদন দেওয়ায় হলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য। প্রত্যাশা একটাই, পরিবারের সবাই মিলে যেন অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে পারে।
‘হা-শো’র শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি পর্বে অতিথি-বিচারক হিসেবে থাকছেন জনপ্রিয় অভিনেতা-নির্মাতা আল মনসুর। তার সঙ্গে প্রথম রাউন্ডে ছিলেন প্রিসিলা পারভীন, দ্বিতীয় রাউন্ডে মুনিরা মিঠু এবং তৃতীয় রাউন্ড থেকে চূড়ান্ত পর্ব পর্যন্ত রয়েছেন শম্পা রেজা।
বাংলাদেশ সময় ১৭৫০, মার্চ ২৩, ২০১১