দেশীয় চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার ২৬টি শাখায় ২৮ জন শিল্পী ও কলাকুশলীকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০০৯’ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২৩ মার্চ বুধবার সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০০৯-এর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু প্রযোজিত ও গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ছবি‘মনপুরা’। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ছবি ‘গঙ্গাযাত্রা’র জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড। ‘মনপুরা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য চঞ্চল চৌধুরী ও ‘গঙ্গাযাত্রা’ ছবির জন্য ফেরদৌস যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘গঙ্গাযাত্রা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন সাদিকা পারভিন পপি ।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০০৯-এর অন্যান্য বিভাগে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন - শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার গিয়াসউদ্দিন সেলিম (মনপুরা), শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড (গঙ্গযাত্রা), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা মুজতবা সউদ (চাঁদের মত বউ), শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা শহীদুল আলম সাচ্চু (বৃত্তের বাইরে), শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী নিপুণ (চাঁদের মত বউ), খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মামুনুর রশীদ (মনপুরা), কৌতুক অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান (মন বসেনা পড়ার টেবিলে), শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী সৈয়দা সাবরিনা (গঙ্গাযাত্রা), শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার জারকান (প্রিয়তমেষু), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক আলম খান (এবাদত), শ্রেষ্ঠ সুরকার কুমার বিশ্বজিৎ (স্বামী-স্ত্রীর ওয়াদা), শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল (স্বামী-স্ত্রীর ওয়াদা), শ্রেষ্ঠ গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ (স্বামী-স্ত্রীর ওয়াদা), শ্রেষ্ঠ গায়িকা যৌথভাবে চন্দনা মজুমদার ও কাজী কৃষ্ণকলি ইসলাম (মনপুরা), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান (বৃত্তের বাইরে), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক জুনায়েদ হালিম (বৃত্তের বাইরে), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক সুজন মাহমুদ (বৃত্তের বাইরে), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক মো. কলনতর (গঙ্গাযাত্রা), শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান খলিলুর রহমান (গঙ্গাযাত্রা) এবং শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা দিলিপ সিং (গঙ্গাযাত্রা)।
কিছুদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০০৯’ পুরস্কার তুলে দেবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময় ১৪৫০, মার্চ ২৪, ২০১১