আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) প্রযোজিত ডকুফিল্ম ‘বন পোড়া হরিণী’। ডকু-ফিল্মটি পাচার হওয়া নারীদের দুঃখকথা, তাদের পুনর্বাসন ও এই পাচার রোধে সমাজের সব মানুষের এক হওয়ার আহ্বান নিয়ে নির্মিত।
কয়েকটি বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে নাটকটির কাহিনী। শিল্পী মমতাজ ছোটবেলায় বাবার কাছে শুনেছিলেন, এক হারিয়ে যাওয়া মেয়ের গল্প। সেই দিন মমতাজের বাবা তার কিশোরী মেয়ের কাঁধে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, বড় হয়ে সেইসব হারিয়ে যাওয়া মেয়ের জন্য কিছু একটা করার। বড় হয়ে শিল্পী মমতাজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে খুঁজে ফিরেছেন জীবনের স্বাভাবিক গতিপথ হারিয়ে ফেলা সেই সব মেয়েদের। আর তাদের খুঁজতে গিয়েই তিনি উপলব্ধি করেছেন এইসব ভাগ্য বিড়ম্বিত মানুষের যন্ত্রণাগুলো, আর সেই উপলব্ধি থেকেই তিনি গান বেঁধেছেন। মমতাজ এক সন্ধ্যায় মঞ্চে তার সেই গানটি গাইতে গিয়ে গান-বাঁধার পেছনের ঘটনাগুলো শ্রোতাদের শোনান। এভাবেই এতে উঠে এসেছে হারিয়ে যাওয়া নারীদের টুকরো টুকরো জীবন।
‘বন পোড়া হরিণী’ ডকু-ফিল্মের অন্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী, চাঁদনী, সাজু মেহেদী, ইতি, শিমু, জার্নাল প্রমূখ। এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের সার্বিক তত্বাবধানে নির্মিত নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন হুমায়ূন কবীর ইমন এবং পরিচালনা করেছেন শংকর সাওজাল। মঙ্গল ও বুধবার মাই টিভিতে সন্ধ্যা সোয়া ছ’টায় ডকু-ফিলামটি প্রচারিত হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৯১০, মার্চ ২৮,২০১১