জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারপ্রাপ্ত পরিচালক সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড শেষ করলেন তার তৃতীয় ছবি ‘অন্তর্ধান’-এর শুটিং। ছবিটিতে তুলে ধরা হয়েছে একদা প্রমত্তা পদ্মার তীরবর্তী মানুষদের দুঃখ-দুর্দশা।
প্রায় এক মাসব্যাপী এই শুটিং শুরু হয়েছিল গত ৫ মার্চ। শুটিং হয়েছিল গোদাবাড়ি, পাকশী, দোহার ও মুন্সিগঞ্জে পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চলে।
ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস, নিপুন, রেখা চৌধুরী, বিনয় ভদ্র, রবিউল আলম, মিরর, সৈয়দা অহিদা সাবরিনা ও তনয়।
ডায়মন্ড তার আগের কাজগুলোর মতো নতুন এই ছবিতে তুলে ধরেছেন সমাজের সাধারণ মানুষের জীবন। জীবনভিত্তিক কাজ করার জন্য তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন ‘জীবনের রূপকার’ হিসেবে।
‘ছবির শুরুতে দেখা যাবে একজন অশতীপর বৃদ্ধা ভোরের আলোয় পদ্মার তীরে এসে বসেন। তার সামনে বিশাল বালির চর। ঘাসবিহীন ধূ-ধূ চরের ওপর দিয়ে মেয়েরা পানি আসছে দূরে থেকে,’ ছবির কাহিনী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন পরিচালক ডায়মন্ড, যিনি ছবিটির গল্পকার ও চিত্রনাট্যকারও।
ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘সেইসময় চাঁপাইনওয়াবগঞ্জ থেকে রাজশাহী আসার পথে পদ্মার গর্জন শুনতে পেতাম। সেইসময় যেখানে চলাচল করত বড় বড় নৌকা এখন সেখানে চলে গরুর গাড়ি। ’
‘ধীরে ধীরে আমাদের দেশের বড় বড় নদীগুলোও শুকিয়ে যাচ্ছে। ছেলেবেলার সেই স্মৃতিগুলো অনেকবার ফিরে ফিরে এসেছে আমার ছবিতে। ’
ডায়মন্ড একসময়ের প্রমত্ত পদ্মা ও বর্তমানে মৃতপ্রায় পদ্মার একটি তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরার চেষ্ঠা করেছেন তার নতুন ছবি ‘অন্তর্ধান’-এ। এখন তিনি ছবিটির পোস্ট-প্রডাকশন কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ডায়মন্ডের মতে, দেশে ভালো প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার স্বল্পতার কারণে তিনি চেন্নাইয়ে পোস্ট-প্রডাকশনের কাজ করার পরিকল্পনা করেছেন।
শুটিং ইউনিটের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডায়মন্ড বলেন, ‘আমার কলা-কুশলীদের কাছ থেকে অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের সবার একাগ্রতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ছবিটির কাজ করে আমি অনেক তৃপ্তি পেয়েছি। ’
বাংলাদেশ সময় ১৩৫০, এপ্রিল ৭, ২০১১