ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

মাসুদ পারভেজ-ডিপজল প্যানেল

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১১

ঢালিউডের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচন আগামী  ২৪ জুন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়ে গেছে, প্রযোজক-পরিবেশকদের প্যানেল গঠন প্রক্রিয়া।

নির্বাচনে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও ডিপজল একই প্যানেল থেকে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।   মাসুদ পারভেজ সভাপতি পদে ও ডিপজল সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন। মাসুদ পারভেজ- ডিপজল প্যানেলে অন্যসব পদের প্রার্থী কারা হচ্ছেন তা এখনো চুড়ান্ত হয় নি।

নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র এখন বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা দিন দিন কমছে। সিনেমা হলগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। অথচ চলচ্চিত্রের এই দুর্দশার কথা সরকারের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরারও লোকজন নেই। চলচ্চিত্র যে ধংসের দ্বার প্রান্তে, এ কথাটি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাচ্ছে না। পৌঁছালে নিশ্চয়ই তিনি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতেন। কারণ এই চলচ্চিত্র শিল্প গড়ে তুলেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার গড়া এই শিল্প ধংস হয়ে যাক, প্রধানমন্ত্রী কোনভাবেই চাইবেন না।

মাসুদ পারভেজ আরো বলেন, আমরা অনেকে চেষ্টা করেছি প্রযোজক সমিতিতে সমঝোতার ভিত্তিতে সকলকে নিয়ে এমন একটি কমিটি গঠন করতে, যারা সরকারের কাছে চলচ্চিত্রের আজকের এই বিপর্যস্ত
অবস্থার কথা তুলে ধরবেন এবং একটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। কিন্তু আমাদের এ উদ্যোগ সফল হয়নি। তিনি বলেন, নির্বাচনে আমার তেমন আগ্রহ ছিল না। আশা ছিল, সমন্বিত উদ্যোগ সফল হলে নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না। যখন উদ্যোগটি সফল হলো না, তখন সিদ্ধান্ত নিলাম নির্বাচন করব। ডিপজল আমাকে বললেন, চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে হলে আমাদের একটা কিছু করতে হবে। আমরা পারব চলচ্চিত্রকে একটি ভাল অবস্থায় উন্নীত করতে, গতি সঞ্চার করতে। তার কথায় উৎসাহ পেলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম নির্বাচন করব।

তিনি আরো বলেন, চলচ্চিত্রের উন্নয়ণের ক্ষেত্রে এফডিসিকে আধুনিকায়ন করা ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই। বর্তমান এফডিসিতে কোন কিছুই ঠিক নেই। মেশিন পত্র থেকে শুরু করে একটি আধুনিক ক্যামেরাও নেই। যা আছে সবকিছুতেই ত্রুটি রয়েছে। মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্স নামে মাত্র হয়েছে, এতে কার্যকর কিছুই নেই। এটি এখন ব্যবহৃত হয় সভা-সেমিনারের জন্য। ল্যাব থেকে শুরু করে সাউন্ড কমপ্লেক্স পর্যন্ত সবকিছুই ত্রুটিপূর্ণ। এসব সমস্যা সমাধান তো আমরা প্রযোজকরা করতে পারব না। কিন্তু এসব সমস্যা তো সরকারের কাছে তুলে ধরতে পারব। এফডিসিতে সিনেমা বোঝেন এমন একজন এমডির প্রযোজনীয়তার কথা বলতে পারব। এসব বিষয়গুলো চিন্তা করে নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে ডিপজল বাংলানিউজকে বললেন, চলচ্চিত্রের বর্তমান শোচনীয় অবস্থার কথা আমি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। এফডিসির কোন কিছুই ঠিক নেই। ঠিক মতো ডাবিং, এডিটিং করা যায় না। শূটিংয়ের জন্য সময় মতো ফিল্ম পাওয়া যায় না। এমন আরও অসংখ্য সমস্যায় এফডিসি জর্জরিত। এসব সমস্যার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরার মতো প্রযোজক সমিতিতে যোগ্য লোকের অভাব রয়েছে। প্রযোজক সমিতি বিষয়গুলো সরকারের কাছে তুলে ধরা যাচ্ছে না। এর কারণ নের্তৃত্ব ও যোগ্যতার অভাব। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি পারভেজ ভাই ও আমি প্যানেল করে সমিতির নির্বাচন করব।

ডিপজল আরো বলেন, আমাদের দু’জনের উদ্দেশ্য এক। চলচ্চিত্রের মঙ্গল। চলচ্চিত্রকে চাঙ্গা করা। ভাল সিনেমা নির্মাণে সদস্যদের সহায়তা করা, তাদের উৎসাহী করা আর সরকারের কাছে যথাযথভাবে এফডিসির বর্তমান সমস্যা তুলে ধরে সমাধানের ব্যবস্থা করা।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এফবিসিসিআইর পরিচালক খোন্দকার রুহুল আমিন। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন আকন্দ সানোয়ার মুর্শেদ ও রুহুল আমিন বাবুল। নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। এবারের নির্বাচনে মূল ভোটারের সংখ্যা ১৩৭ জন। সহযোগী ভোটারের সংখ্যা ৪৪ জন।

বাংলাদেশ সময় ১৮৫০, মে ০৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।