কান চলচ্চিত্র উৎসবের সবচেয়ে সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড হলো পালমে দি’ওর। এই মর্যাদা জয়ের প্রতিযোগিতায় এবার যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, অস্টেলিয়া, ইসরাইল, জাপান সহ বিভিন্ন দেশের মোট ২০টি ছবি অংশ নিচ্ছে।
পালমে দি’ওর অ্যাওয়ার্ডের এবারের জুরি বোর্ড পরিচালনায় থাকছেন অস্কারজয়ী পরিচালক রবার্ট দি নিরো এবং তার সঙ্গে রয়েছেন হলিউডস্টার উমা থুরমান ও জুডি লো; হংকংয়ের বিখ্যাত পরিচালক জনি তু ও প্রযোজক শি নানসুন এবং ফ্রেঞ্চ পরিচালক অলিভিয়ার অ্যাসেজ।
এবারের কান উৎসব উদযাপন কমিটি প্রধান পরিচালক থিয়েরী ফ্রিমাক্স এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যেসব ছবি উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে তার সবগুলোই পালমে দি’ওর অ্যাওয়ার্ডের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার যোগ্য। তিনি আরো বলেন, চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র । মূলত একেকটি চলচ্চিত্রে একেকটি রাষ্ট্রের সার্বিক অবস্থা প্রতিফলিত হয়।
পালমে দি’ওর অ্যাওয়ার্ডের প্রতিযেগিতায় অংশ নেওয়া ২০টি ছবির মধ্যে কয়েকটি ছবিকে অবশ্য সমালোচকরা এগিয়ে রেখেছেন। আলোচনায় উঠে আসা ছবির মধ্যে রয়েছে স্প্যনিশ আলমোদোভারের ‘লা পিয়েল কো হ্যাবিতো (দি স্কিন আই লিভ) ও ইউএস পরিচালক টেরেন্স মালিকের ‘দি ট্রি অব লাইফ’। ডেনমার্কের পরিচালক ভন ট্রায়ার ‘ড্যান্সার ইন দি ডার্ক’-এর জন্য ২০০০ সালে পালমে দি’ওর জিতেছিলেন, এবার তিনি ফিরে এসেছেন নতুন ছবি ‘মেলানকোলিয়া’ নিয়ে।
ইসরাইলের পরিচালক জোশেফ সিডার উপস্থাপন করবেন ‘হিয়ারাত শুলাইম (ফুটনোট)’। জাপানের দুটি ছবি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে, তাকাশি মাইকির ‘ইশিমেই (ডেথ অব এ সামুরাই)’ ও নাউমি কাউসির ‘হেনিযু সুকি’।
এদিকে, ব্রিটিশ প্রতিযোগী লিনি রামসে পালমে দি’ওর জেতার লড়াইয়ে হাজির হবেন ‘উই নিড টু টক অ্যাবাউট কেভিন’ নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার জুলিয়া লেইগের ‘স্লিপিং বিউটি’ ও মাকার্স শেলিনজারের ‘মাইকেল’ ছবি দুটোকেও অনেকে এগিয়ে রেখেছেন এই অনন্য সন্মান বিজয়ের লড়াইয়ে।
বাংলাদেশ সময় ১৯১৫, মে ১৬, ২০১১