লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার মেহজাবিন কাউকে না জানিয়ে হুট করে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েছেন। এই বিয়েতে পরিবারের মত ছিল না।
২০০৯ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ইভেন্টের খেতাব বিজয়ী মেহজাবিন। বাবার কর্মসূত্রে ওমানে বড় উঠা মেহজাবিন এ বছর ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে ‘এ’ লেভেল দিয়েছেন। টিভিনাটকে অভিনয় করছেন নিয়মিত। মডেল হয়েছেন বেশ কিছু পণ্যের। সালাউদ্দিন লাভলুর ছবি ‘ওয়ারিশ’-এর মাধ্যমে তার বড় পর্দায় অভিষেক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পড়ালেখা আর পরীক্ষার কারণে তাতে অভিনয় করা হচ্ছে না মেহজাবিনের। আপাতত টিভিনাটক আর মডেলিং নিয়েই কাটাচ্ছেন ব্যস্ত সময়। এরই মধ্যে তার বিয়ে করা গুঞ্জন উঠেছে।
হুট করে নিজের পছন্দে বিয়ে করার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে মেহজাবিন বাংলানিউজকে বললেন, ঘটনাটি মোটেও সত্য নয়। অন্যদের মুখ থেকে আমিও কথাটি শুনেছি। আমাকে ছোট করার জন্যই ষড়যন্ত্র করে গুজবটি ছড়িয়েছে কেউ বা কারা। সত্যি বলতে কী, আমার এখনও বিয়ে করার বয়সই হয়নি।
মেহজাবিন তার ক্ষোভের কথা জানিয়ে বললেন, লাক্স চ্যানেল আই সুপারাস্টার হওয়ার পর আরেক বার এরকম আমার বিয়ের ব্যাপারে গুজব ছড়িয়েছিল। কিন্তু তা পরে মিথ্যে প্রমানিত হয়েছে। এবারের ব্যাপারটিও তাই। আমি এই গুজবের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি বয়সে এখনও অনেক ছোট, অথচ কারা যে আমাকে বিয়ে নিয়ে এতো চিন্তিত হয়ে পড়েছেন আমি জানি না। তিনি আরো বললেন, আগামী ৫/৬ বছর পর যদি বিয়ে করি তবে তা নিয়ে আমার লুকোচুরি করার কোনো ইচ্ছে নেই। কারণ আমি মনে করি, বিয়ের পরও মিডিয়ায় ক্যারিয়ার ঠিক রেখে কাজ করা সম্ভব। আমার অনেক সিনিয়রই বিয়ের পরও অভিনয় করে যাচ্ছেন এবং তারা অনেক জনপ্রিয়।
মেহজাবিন জানালেন, বর্তমানে তিনটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছে। ধারাবাহিক তিনটি হলো আলভী আহমেদের ‘শোধ’, অম্ল¬ান বিশ্বাসের ‘নো প্রবলেম’ আর পিটার কোরেশীর ‘বন্ধুদের গল্প’। এছাড়াও সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে তিনি কাজ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রাণ সিলং চা, এক্সএল গাম, সিঙ্গার টিভি সিঙ্গার ওয়াশিং মেশিন, এবং রিও মটরভাজা। শিগগিরই এসব বিজ্ঞাপনের প্রচার শুরু হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় ২০৪০, মে ১৭, ২০১১