চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ২০ মে শুক্রবার। নির্বাচন ঘিরে আলোচনা-উত্তেজনায় উত্তপ্ত এখন এফডিসি।
মিজু-ড্যানি প্যানেলের নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিল উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিল্পী। যাদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন অপরিচিত। নির্বাচনের দুদিন আগে মিজু-ড্যানি প্যানেলের এই সভাকে একধরণের শো-ডাউন বলে মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই। সভায় মিজু আহমেদ বলেন, অসম্ভব কোনো স্বপ্ন দেখিয়ে আমরা ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে চাই না। সামর্থ্যরে মধ্যে থেকেই আমরা আমাদের শিল্পী সমাজের কল্যাণ করতে চাই। এবার দায়িত্ব পেলে আমরা দুঃস্থ শিল্পীদের কল্যাণের প্রতিই বেশি গুরুত্ব দেব।
সভায় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলের উপস্থিতি এবং বক্তব্য বিপুল করতালি দিয়ে স্বাগত জানায় উপস্থিত শিল্পীরা। পাশাপাশি খলিল উল্লাহ খান, ইলিয়াস কাঞ্চন, কাজী হায়াৎ, ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ সিনিয়র শিল্পী সভায় উপস্থিত হয়ে মিজু-ড্যানি প্যানেলের প্রতি আস্থা ও সমর্থন জানান।
১৫ মে অনুষ্ঠিত শাকিব-মিশা প্যানেলের নির্বাচনী সভায় পরিচালক-প্রযোজক ও সিনিয়র শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আশরাফউদ্দিন আহমেদ উজ্জল, আলমগীর, সোহানুর রহমান সোহান, খোরশেদ আলম খসরু, ওমর সানী, মোহাম্মদ হোসেন জেমী প্রমুখ।
নিবাচনী প্রচারের শেষ মুহূর্তে শাকিব-মিশা প্যানেল জোর দিচ্ছে ‘ডোর টু ডোর’ শিল্পীদের কাছে যাওয়ার প্রতি। দুদিন ধরে শাকিব খান ও মিশা সওদাগরসহ এই প্যানেলের প্রার্থীরা দুটি মাইক্রোবাসে করে শিল্পীদের ঘরে ঘরে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
শিল্পী সমিতি নির্বাচনী হাওয়ার গতি-প্রকৃতি এখনও বোঝা যাচ্ছে না। এফডিসির সবদিকে শুধু জল্পনা-কল্পনা। দীর্ঘদিন ধরে এফডিসিতে কাজ করছেন এমন একাধিক শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারে এগিয়ে আছে মিজু-ড্যানি প্যানেল। অনেকেই মনে করছেন, এককভাবে কোনো প্যানেল এই নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময় ১৯২০, মে ১৮, ২০১১