ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

শেষ হলো কান চলচ্চিত্র উৎসব

রবাব রসাঁ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১১

সবার উৎসুক চোখ ছিল ‘পালমে দি’ওর’ ওপর। সেই চোখ এখন যেন ঘুরে গেল মালিকের দিকে।

মার্কিন দেশের লাজুক এই পরিচালক টেরেন্স মালিক তার ‘দ্য ট্রি অব লাইফ’ ছবি নিয়ে এসেছিলেন কানের মাটিতে। তার সদলবলে আটলন্টিক পাড়ি দেওয়া বৃথা যায়নি। কেননা তার ছবিটিই পেয়েছে এবারের কান উৎসবের সেরা ছবির মর্যাদা। পেয়েছে ‘পালমে দি’ওর’।

এই ছবিটিতে অভিনয় করেছেন ব্র্যাড পিট ও শন পেন। ছবিটির কাহিনীতে রয়েছে উনিশশ পঞ্চাশ দশকের একটি পরিবার। তারা থাকে টেক্সাসে, খুঁজে বেড়ায় জীবনের মানে।

তবে ‘দ্য ট্রি অব লাইফ’ কানের বিচারকদের নাকি দু ভাগ করে দিয়েছে। বিবিসির সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক ভিনসেন্ট দাউদ মন্তব্য করেছেন, ‘কোনও কোনও বিচারকের চোখে ছবিটি অসাধারণ, আবার কারো কারো দৃষ্টিতে এটি অখাদ্য’।

১৯৪৩ সালে টেক্সাসে জন্ম নেওয়া মালিক তার চল্লিশ বছরের চলচ্চিত্রজীবনের পঞ্চম ছবিটি নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিলেন কানে আসার আগে থেকেই। এই ১৪৮ মিনিটের ছবিটিতে তিনি খুঁজেছেন জীবনের মানে। দেখিয়েছেন জীবনের উৎস।

অন্যদিকে সেরা অভিনেতার পুরস্কারটি গিয়েছে জঁ দুজারদ্যাঁ-র ঝুলিতে। এই ফরাসি অভিনেতা অভিনয় করেছেন ‘দ্য আর্টিস্ট’ নামের নির্বাক ছবিতে। পরিচালক ছিলেন মিশেল হাজানাভিসিয়ুস।

সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন অভিনেত্রী ক্রিস্টেন ডুনস্ট। তিনি অভিনয় করেছেন ড্যানিশ পরিচালক লারস ফন ত্রিয়েরের ‘মেলানকোলিয়া’ ছবিতে।

জার্মান একনায়ক হিটলার সম্পর্কে ‘ইতিবাচক’ কথা ও ইসরাইল সম্পর্কে ‘নেতিবাচক’ মন্তব্য করে ফেঁসে যান এই ছবির পরিচালক ফন ত্রিয়ের। তাকে বহিষ্কার করা হয় উৎসব থেকে। তাই পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তাকে থাকতে দেওয়া হয়নি। তবে হতাশ হননি তিনি, বরং নতুন ছবি তৈরির জোরালো আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন গণমাধ্যমগুলোতে।

সব মিলিয়ে খুশি প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকমণ্ডলীর প্রধান রবার্ট ডি নিরো। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, ‘সবদিক বিচার করে দেখা গেছে ‘দ্য ট্রি অব লাইফ’ ছবিটিই সেরা’।

সন্দেহ নেই ছবিটির পরিচালকও খুব খুশি। তবে এই ‘অতি’ লাজুক মানুষটি অনুষ্ঠান মঞ্চে তো আসেনইনি, এমনকি কানে ছবিটির প্রেস শোতেও তাকে দেখা যায়নি। সেবার তিনি সাংবাদিকদের সামনে ঠেলে পাঠিয়েছিলেন অভিনেতা ব্র্যাড পিটকে। আর এবার মঞ্চে তুলে দেন ছবিটির সহ-প্রযোজক বিল পোলাডকে।

পোলাড বলেন, ‘আমি জানি এই পুরস্কারের খবরে মালিক খুশি হবেন। আসলে আমরা সবাই বেশ আনন্দিত। ’ এরই মধ্যে ছবিটি বাণিজ্যিক সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে। এখন ছবি পরিবেশকদেরই খুঁজতে হচ্ছে ‘দ্য ট্রি অব লাইফ’-এর কলাকুশলীদের।

নিশ্চয় ছবি প্রেমিকরাও এতক্ষণে খুঁজতে শুরু করে দিয়েছেন ছবিটির সফট অথবা হার্ড কপি।

কানের মাটিতে চলচ্চিত্রের এই ১২ দিনের মহোৎসব শেষ হয় ২২ মে’র রাতে।

বাংলাদেশ সময় ১৮৫১, মে ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।