জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১২তম জন্ম-জয়ন্তী উপলক্ষে একুশে টিভির বিশেষ নাটক ‘নীলকন্ঠী’। কাজী নজরুল ইসলামের ছোট গল্প অবলম্বনে নাটকটি পরিচালনা করেছেন আশরাফী মিঠু।
উদাসীন আর ভাবুক টাইপের যুবক ব্রাত্য । রাস্তায় রাস্তায় ঘোরে । নৈরাশীবাদ্য এবং প্রচল সময়ের বিরোধী । হাটতে চলতে কবিতা লেখারও চেষ্টা করে মাঝে মধ্যে । একদিন বন্ধুদের পাল¬ায় পরে পরিচয় হয় এক একাকী, নিভৃতবাসী মেয়ের সাথে । তার নাম রজনী । রজনী হাসে কাঁদে অদ্ভুত সব খেলা খেলে; ব্রাত্য তাকে বুঝতে পারে না । দুর্ভেদ্য মনে হয় । ব্রাত্য তার কাছে যেতে পারে না। কিন্তু রজনী তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে । সে চায় ব্রাত্য তাকে ভালবাসার কথা শোনাক, তাকে কাছে টেনে নিক। ব্রাত্য নিজেকে দুরে সরিয়েই রাখে। সে কোনো বন্ধনে জড়াতে চায় না নিজেকে। রজনী তাকে ভুল বোঝে। ব্রাত্য একদিন না জানিয়েই রজনীর কাছে থেকে দুরে চলে যায়।
ব্রাত্য কর্মমুখের হতে চায়। নিজেকে নতুন করে দাঁড় করাতে চায় । আশাবাদী হয়ে উঠতে চায় । কেটে যায় অনেকদিন। কিন্তু যে রজনীকে প্রায় ভুলে গিয়েছিল সে হঠাৎ তার মনে উদয় হয় তীব্রভাবে । পলে পলে ভেসে ওঠে রজনীর মুখ । ব্রাত্য বুঝতে পার রজনীর প্রতি ভেতরে তার প্রবল টান, ভালবাসা । সে রজনীর কাছে ছুটে যেতে চায় হৃদয়ের শান্তির জন্য । কিন্তু রজনীকে আর পায় না কোথাও ।
একদিন অবশেষে রজনীকে পেয়ে যায় ব্রাত্য । নতুন এক ঠিকানায় । কিন্তু এ সেই নিভৃত একাকী রহস্যময়ী রজনী নয় । এ এক নতুন রজনী । চারপাশে বন্ধুর ভিড় তার । জীবনের বস্তুগত চাওয়া পাওয়ার হিসাব মেটাতে নিজেকে সে অবলীলায় ভিড়িয়ে দিচ্ছে পুরুষের হৃদয়ে । রজনীকে এখন আর ছলনাময়ী এক নারী ছাড়া কিছু মনে হয় না ব্রাত্যর । সে আবেগে উদ্বেল হয় । এক নিদারুণ অন্তর্বাস্তবতার মুখোমুখি হয় ব্রাত্য ।
‘নীলকন্ঠী’ নাটকটি প্রচারিত হবে একুশে টিভিতে ২৫ মে রাত ৯ টায়।
বাংলাদেশ সময় ১৯৫৫, মে ২৩, ২০১১