সত্তর ও আশির দশকের জনপ্রিয় চলচ্চিত্রাভিনেত্রী সুলতানা দশবছর পর দেশে ফিরেছেন। ঢাকাতেই তিনি এখন স্থায়ীভাবে থাকবেন।
‘ও দাদা ভাই মূর্তি বানাও’ গানটির কথা এখনো মনে আছে চলচ্চিত্রের অনেক দর্শকের। মমতাজ আলী পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘রক্তাক্ত বাংলা’ ছবির গান ছিল এটি। এতে কলকাতার জনপ্রিয় নায়ক প্রসেনজিতেরর বাবা বিশ্বজিতের বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুলতানা। গানটি সুলতানার লিপে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
চলচ্চিত্রাভিনেত্রী রানী সরকারের হাত ধরে চলচ্চিত্রে সুলতানার অভিষেক হয়েছিল। শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন ‘অপরিচিতা’ নামের একটি ছবিতে। কয়েক বছর বিরতির পর এহতেশামের ‘চকোরী’ ছবিতে অভিনয় করেন। বড় হয়ে উঠার পর সুলতানা অভিনয় করেন ‘পিঁচ ঢালা পথ’ ছবিতে। নায়িকা হিসেবে তাকে দেখা যায় ‘রাঙ্গা বউ’ এবং ‘সপ্তডিঙ্গা’ ছবিতে। তবে সুলতানা বেশিরভাগ ছবিতে কবরী, শাবানা ও ববিতার বান্ধবী চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। অবশ্য শুধু বান্ধবীর চরিত্রেই নয়; নায়কের বোন, নায়িকার ভাবী কিংবা বড়বোনের চরিত্রে অভিনয় করেও দর্শকনন্দিত হয়েছেন সুলতানা।
সুলতানা অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘সিরাজউদ্দৌলা’, ‘ছোটে সাহাব’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘ডাক বাবু’, ‘কুলি’, ‘ভাগ্যচক্র’, ‘সাক্ষী’, ‘জবাব চাই’, ‘মধুমতি’, ‘রাজমহল’, ‘ওয়াদা’, ‘বুলবুল এ বাগদাদ’, ‘খোকন সোনা’, ‘প্রেম নগর’, ‘পাগলা রাজা’ প্রভৃতি। ঢালিউডে সুলতানা অভিনীত শেষ ছবি হলো ‘দিলতো পাগল হে’। ছবিতে শাবনূরের ভাবী চরিত্রে তিনি অভিনয় করেন।
১৯৯০ সালে সুলতানা সপরিবারে কানাডা চলে যান। ২০০০ সাল থেকে আমেরিকাতেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। প্রবাসী জীবন ত্যাগ করে এখন দেশেই স্থায়ী হবেন বলে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবর চলচ্চিত্রে অভিনয় করা প্রসঙ্গে সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, যেহেতু আমি শিল্পী, কাজের নেশাতো আছেই। কিন্তু ভালো গল্প এবং ভালো চরিত্র না পেলে নতুন করে কাজে জড়াতে চাই না। কারণ যে একটি অবস্থানে থেকে চলচ্চিত্র থেকে বেশ কিছুটা সময়ের জন্য বিরতি নিয়ে চলে গিয়েছিলাম ফিরে এসে দেখলাম আমার সেই অবস্থানটি আজো অটুট আছে। তা হারাতে চাই না। ইদানিং ভালো ছবি তৈরি একটি ধারা তৈরি হয়েছে। সেই ধারাতেই আমি কাজ করতে চাই।
বাংলাদেশ সময় ১৯৫০, মে ২৬, ২০১১