তরুণ ভারতীয় শিল্পী অভিষেক লাহিড়ী সরোদ বাজিয়ে মুগ্ধ করলেন ঢাকার শ্রোতাদের। শেষ গ্রীষ্মের আর্দ্র সন্ধ্যায় তিনি অপূর্ব সুরের লহরী তুলেছিলেন।
অভিষেক তার পরিবেশনা শুরু করেন রাগ ‘পুরিয়া কল্যাণ’ দিয়ে। আলাপ শেষে ধীরে ধীরে তিনি শ্রোতাদের নিয়ে যান হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জগতে। ভারতীয় শিল্পী দীলিপ মুখোপ্যাধায় অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গত করেন তবলায়। তানপুরায় মিহি সুর তুলে পাশে ছিলেন বাংলাদেশি শিল্পী মেহজাবীন রহমান।
সরোদ বাজিয়ে অভিষেক সুনাম অর্জন করেছেন ভারতের বাইরেও। বিশিষ্টতা এনেছেন শাহজাহানপুর, মাইহার ও আধা-বিনকার ঘরানার ভেতর মেলবন্ধন তৈরি করে। তাই পাশ্চাত্যে ভারতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোয় সরোদ-বাদনে অভিষেকের নাম বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই উঠে আসে।
ছয় বছর বয়সে বাবার কাছেই তালিম নেন অভিষেক। তার বাবা পণ্ডিত অলোক লাহিড়ীর খ্যাতি আছে সরোদ-বাদনে। তাই বাবার কম্পোজিশন করা বন্দিশ বাজালেন রাগ ‘তিলক কামদ’-এ।
অভিষেক তার শেষ পরিবেশনায় আনেন ‘মিশ্র কাফি’। ঠুমরি অঙ্গের এই কম্পোজিশনে তিনি যোগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের কিছু অংশ। সরোদে তুলে আনেন এসব গানের সুর।
আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান করলেও ঢাকায় ভারতীয় এই বাঙালি শিল্পীর এটাই প্রথম পরিবেশনা। ‘ঢাকার অডিয়েন্স ভালো, বেশ লেগেছে পারফর্ম করে,’ বাংলানিউজকে বলেন অভিষেক লাহিড়ী।
বাংলাদেশ সময় ১৯৫৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১১