এইসময়ের আলোচিত গায়ক শফিক তুহিনের একটি জনপ্রিয় গান ‘এর বেশি ভালোবাসা যায় না’। এই গানটির সঙ্গে গল্পের মিল থাকায় নাটকের নাম রাখা হয়েছে একই শিরোনামে।
এবারই প্রথম কোনো নাটকে ৫টি ভিন্ন চরিত্রে একই সঙ্গে অভিনয় করেছেন সজল এবং ফারিয়া। নাটকে ভিক্ষুক, টিনেজার প্রেমিক-প্রেমিকা, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং ৬০ বছরের বৃদ্ধ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল-ফারিয়া। নাটকে সজল একজন নাট্যকার। নাটকের প্লট খোজার জন্য স্ত্রী ফারিয়াকে নিয়ে নানান রঙের কল্পনায় ভেসে যায় তার মন। সেই কল্পনারই অংশ চরিত্রগুলি। সেই চরিত্রগুলিই বারবার সজলের নিজের জীবনে ভর করে। এমনিতে নাটকে সজল প্রথমবারের মত তোতলা স্বামী এবং ফারিয়া গ্লুকোমায় আক্রান্ত স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
‘এর বেশি ভালোবাসা যায় না’ নাটকে দেখা যাবে, ধনী বাবার একমাত্র মেয়ে মিতুর সব কিছু ওলোট পালোট করে দেয় আরমান। আট মাস প্রেমের পর বিয়ে করে ওরা দুজন। তাও পালিয়ে, পরিবারের বাধার মুখে। সুখেই চলছিল সংসার। সমস্যা একটাই-মিতু ভীষণ বদমেজাজী। আর আরমানও মিতুকে অস্বাভাবিক ভালোবাসে; ঠিক ততক্ষণ যতক্ষণ মিতু তার প্রতি ভালো থাকে। দুজনার কেউই কাউকে ছাড় দিতে রাজি হয়না। একটা সময় আরমানের তোতলামো মিতুর কাছে বিষের মত হয়ে দাঁড়ায়। আর মিতুর চোখের গ্লুকোমা সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে আরমান। ভালোবাসা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা-এই তিন পিলারের কোনোটারই অভাব নেই ওদের। তাও জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে দাঁড়াতে বাধ্য হয় একটা সময়।
বাংলাদেশ সময় ১৮১৫, জুন ১২, ২০১১