শরৎচন্দ্রের অমর সৃষ্টি ‘দেবদাস’। সেই দেবদাস যদি আজকের প্রেক্ষাপটে জন্ম নিতেন, তাহলে উপন্যাসের শেষ পরিণতি হতো অন্যরকম।
যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ১৩ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘আজকের দেবদাস’। এটিএন বাংলা চ্যানেলে এ ধারাবাহিকটি প্রচারিত হচ্ছে প্রতি শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে। ধারাবাহিকটি রচনা করেছেন হাফিজ রেদু ও খালেদুর রহমান জুয়েল, পরিচালনায় রয়েছেন আরেফিন রূপম। নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশারফ করিম ও তিশা।
‘সুস্থ থাকুন’ প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে নাটকটি সম্প্রচারিত হচ্ছে।
সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে যক্ষ্মা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গত দু’বছর ধরে এই প্রচারাভিযান চালিয়ে আসছে এসএমসি। এ প্রচারাভিযানের অর্থায়নে মূল অংশীদার হিসেবে আছে ইউএসএআইডি। বিনোদনের মধ্য দিয়ে যক্ষ্মার সকল তথ্য সাধারণ মানুষকে জানানোর জন্য রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা প্রক্রিয়া, রোগ মোকাবেলার প্রয়োজনীয় সকল তথ্যসমূহ নাটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এসএমসি’র ডিজিজ প্রিভেনশন হেড ড. এ জেড এম জাহিদুর রহমান বলেন, যক্ষ্মা পুরোপুরি ভালো হয়। সরকার ও অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে যক্ষ্মার চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে। কিন্তু এরপরও বাংলাদেশে বর্তমান যক্ষ্মার চিত্র সন্তোষজনক নয়। আর আমরা সবাই জানি যে, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাবই এর প্রধান কারণ। এখানে প্রচলিত আছে ‘যার হয় যক্ষ্মা, তার নাই রক্ষা’। প্রথমেই যক্ষ্মা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত এই ধারণা বদলাতে হবে। নাটক যোগাযোগের একটি শক্তিশালী মাধ্যম, এর আগেও আমরা এর সুফল পেয়েছি। আশা করি, ‘আজকের দেবদাস’ আরো একটি সফল নাটক হবে।
নাটকের নায়ক মোশারফ করিম বলেন, এসএমসি প্রযোজিত সচেতনতামূলক কিছু নাটকে এর আগেও আমি কাজ করেছি; এর প্রত্যেকটিই ছিল সফল। এসএমসি’র উদ্যোগগুলোর সাথে কাজ করতে আমার সবসময়ই ভালো লাগে। আমি শুনেছি ‘আজকের দেবদাস’ সবার ভালো লেগেছে, আমার বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত এটা অবশ্যই সফল হবে। যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির এই মহৎ উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমার সত্যিই অনেক ভালো লাগছে।