বিশ্বের সবচেয়ে যৌনআবেদনময়ী নারীর স্বীকৃতি এখন ভারতীয় বংশোদ্ভুত দক্ষিণ আফ্রিকান মডেল শশী নাইডুর কব্জায়।
বিশ্বজুড়ে পুরুষদের জনপ্রিয় সাময়িকী এফএইচএম-এর এক ভোট জরিপে এ তথ্য জানা গেছে।
এ দৌড়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন হলিউডের শীর্ষ নায়িকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও পপ সেনসেশন ক্রিস্টিনা অ্যাগুইলারার মত শক্ত প্রতিদ্বন্ধীদেরকে।
আবেদনময়ীদের রাজ্যে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে ভেসে ওঠা শশী নাইডুকে প্রচ্ছদে স্থান দিয়ে জুলাইয়ের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে এফএইচএম। তালিকায় আরও রয়েছেন বিশ্বের আরো ৯৯ জন সেরা যৌনআবেদনময়ী। কিন্তু জলি আর ক্রিস্টিনার মত তারাও সবাই চাঁদমুখ শশীর পেছনেই রয়েছেন।
সবে ২০ এর কোটা পার করা এ প্রাচ্য সুন্দরী জীবন দর্শনে গান্ধীজীর বিখ্যাত উক্তি অনুসরণ করেন, ‘বিশ্বে কোনো পরিবর্তন ঘটাতে চাইলে তা নিজের থেকেই শুরু করুন। ’
‘যা কিছু করি ভালোবেসে করি, নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে থেকে করি আর প্রাধান্য দিয়েই করি’- শীর্ষ যৌনআবেদনময়ীর খেতাব জয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শশী নাইডু একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এমন একটি জয়ের খবর শুনে প্রথমে পুরো নির্বাক হয়ে যাই। ’
আনন্দ সংবাদটি উপভোগের সময় হাইস্কুলের দিনগুলোর কথা স্মরণ করে বললেন, ‘মডেল হিসেবে আজ প্রতিষ্ঠা পেলেও সেই দিনগুলোতে বেদনাহত হয়েছি বারবারই। ’
তিনি জানান, স্কুল জীবনে তাকে মোটেই সুন্দর দেখাতো না। দাঁতগুলো ছিল উঁচু উঁচু।
শশী বলেন, ‘স্কুলে নাচের দলে শেষ নামটি ডাকা হতো আমার। তবে সেই বেদনা থেকে যোগানো শক্তিতে ভর করেই আজ এ সাফল্য পেয়েছি। ’
এফএইচএম সম্পাদক হেজন অ্যাঙ্গলার নয়া এই সেক্স সিম্বল সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘সবচেয়ে যৌনাবেদনময়ীর খেতাব পাওয়ার একমাত্র হকদার শশী-ই। তার মাঝে সে সব জিনিস পুরোমাত্রায় আছে যা একজন পুরুষ কোনও নারীর কাছে পেতে চায়। ’
বর্তমানে একটি মডেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালনা করেন নাইডু।
শশী নাইডুকে এক নজর দেখার জন্য উদগ্রীব আজ বিশ্বের যতো হ্যান্ডসাম যুবক। তাদের জন্য সংবাদ বা দুঃসংবাদ এখন একটাই- নয়া এ হৃদয়েশ্বরী বিবাহিত।
তবে অবাক করা আরও একটি বিষয় হলো শশীকে নিয়ে দুনিয়া জুড়ে পুরুষরা মাতোয়ারা হলেও তার স্বামী মার্ক সেন্ডলারের মাঝে স্ত্রীর সবচে’ যৌনাবেদনময়ীর খেতাব জেতার বিষয়টিতে কোনও আগ্রহ’ই দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সময় ১৭৩০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১১