চলচ্চিত্রের ৫টি শীর্ষস্থানীয় সংগঠন মিলে সম্প্রতি গঠন করেছে ‘ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রতিরোধ কমিটি’। ৫ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে রয়েছেন প্রযোজক সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম খসরু।
সম্প্রতি চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ও তথ্য মন্ত্রাণালয় অনাপত্তিপত্র ও অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শণের জন্য তিনটি ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানী করার পর চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। জানা গেছে, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেলেই ‘জোর’, ‘সংগ্রাম’ ও ‘বদলা’ নামের এ তিনটি ছবি বাংলদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনে বাঁধা-নিষেধ থাকবে না। এই তালিকায় রয়েছে আরো নয়টি ভারতীয় ছবি।
বাংলাদেশে ভারতীয় ছবি প্রবেশের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানি নীতিমালার বাঁধানিষেধ গত বছর তুলে নেওয়া হয়। ওই সময় বাংলাদেশের প্রদর্শকেরা দ্রুত একাধিক ভারতীয় ছবি আমদানি করে। পরবর্তীতে চলচ্চিত্রশিল্পী-কলাকুশলী ও নির্মাতাদের প্রবল আপত্তি এবং আন্দোলনের মুখে সরকার ভারতীয় ছবি আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রদর্শকরা উচ্চ আদালতে রিট আবেদন জানায়। আদালতের নির্দেশে উল্লেখিত সময় যেসব ছবি আমদানীর জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয় সেসব ছবিকে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ও তথ্য মন্ত্রাণালয় অনাপত্তি পত্র প্রদান করে। উল্লেখিত ৩টি ছবি ছাড়াও এই আওতায় অনাপত্তি পত্র পাওয়ার যোগ্য ভারতীয় ছবির তালিকায় রয়েছে থ্রি ইডিয়টস, মাই নেম ইজ খান, তারে জমিন পার, রং দে বাসন্তি, দাবাং, ম্যায় হুঁ না, কাভি আল বিদা না কেহনা, ওম শান্তি প্রভৃতি।
‘ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রতিরোধ কমিটি’ গঠিত হওয়ার পরপরই তথ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নেতৃবৃন্দ। তথ্য সচিব চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতিনিধিদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তিনি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের জানান, বর্তমান সরকারের ভারতীয় ছবির আমদানি ও প্রদর্শনের কোন আগ্রহ নেই। তিনি আগে এলসি খোলার সুযোগে প্রবেশকৃত ছবি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শণের বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাইকে সোচ্চার জানিয়েছেন।
প্রতিরোধ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, তাদের কর্মসূচির প্রথম ধাপ হিসেবে ছিল তথ্য সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। পর্যায়ক্রমে কমিটির নেতৃবৃন্দ তথ্য মন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবে।
বাংলাদেশ সময় ১৫১০, জুলাই ০৭, ২০১১